ভাসমান খাচায় মাছ চাষে ভাগ্য বদল

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। যার ফলে দেখা দিয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে শতাধিক চাষির। তেলাপিয়া, কই, শিংও পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে এই খাঁচাগুলোতে। খাচায় মাছ চাষ করলে মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সঙ্গে অপসারিত হয় বিধায় পানিকে দূষিত করতে পারে না। মাছের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতির প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। প্রবাহমান পানি থাকায় খাঁচার অভ্যন্তরের পরিবর্তন হতে থাকে ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়। পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এখন সরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩৫ জন খামারির প্রায় ৩০০০ হাজার খাঁচা রয়েছে। এ ছাড়া আরো অনেকেই মাছ চাষ করছেন, যারা সরকারিভাবে নিবন্ধন করার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় শতাধিক খামারি রয়েছেন যারা খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। চর আড়ালিয়া গ্রামের সফল মাছচাষি মুছা মিয়া জানান বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। তার আড়াইশত খাঁচা রয়েছে যা থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় চার টন মাছ বিক্রি করতে পারেন। এতে তার সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় অনেক মাছ চাষি। আরেক মাছ চাষি ভিকচান মেম্বার বলেন, নদীর চলন্ত পানি থাকায় মাছের রোগ বালাই হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই এ মাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে। তিনি ও একজন সফল মাছ চাষি। বাজারে এই সব মাছের চাহিদা ভালো থাকায়, দামও ভালো পায় খামারিরা। রায়পুরা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাবিব ফরহাদ আলম জানান, খাচায় মাছ চাষে মাছের বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। নদীর পানি পরিষ্কার এবং পানিতে অক্সিজেন বেশি প্রবাহিত হওয়ায় নদীতে ভাসমান খাচায় মাছ চাষে মাছের বৃদ্ধি বেশি হয় এবং অধিক লাভজনক। পুকুরের তুলনায় খাঁচায় চাষকৃত মাছের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।