উখিয়ার পাটোয়ারটেক গ্রামকে বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

‘আমার গ্রাম, আমার দায়িত্ব- শিশুর জীবন হবে বাল্যবিয়ে মুক্ত’ এই প্রতিপাদ্যবিষয়কে সামনে রেখে ‘আমিই পারি শিশুর প্রতি শারীরিক সহিংসতা বন্ধ করতে’ নামক বিশ্ব প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে এনজিও সংস্থা শেড-এর উদ্যোগে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জালিয়া পালং ইউনিয়নের পাটোয়ার টেক গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সকালে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ উখিয়া এরিয়া অফিসের সহযোগিতায় ও সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর বাস্তবায়নে জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ, ভিডিসি, শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে পর্যটন স্পট পাটোয়ারটেকে বাল্যবিবাহ মুক্ত গ্রাম ঘোষণা ও উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর মঞ্জু মারিয়া পালমা। জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম সৈয়দ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর জামাল উদ্দিন, উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাজাহান, জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বার সাহাব উদ্দিন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কক্সবাজার এসিও’র সিনিয়র ম্যানেজার রোনাল্ড প্রবীর চিসিক ও জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাওলানা জালাল আহমেদ। স্বাগক বক্তব্য রাখেন, পাটোয়ারটেক গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহম্মদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শেড এর উখিয়া এরিয়া প্রোগ্রামের ম্যানেজার আবুল কালাম। অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ জাতির জন্য একটি অভিশাপ, বাল্যবিবাহের ফলে শিশু ও মায়েদের অপুষ্টি দেখা দেয়। শিশুদের সুন্দর একটি ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যায়। আজকে পাটোয়ার টেক গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। শুধু এ গ্রাম নয়, আগামী দিনে উপজেলার সবগুলো গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার জন্য আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা চাই উখিয়া হোক বাল্যবিবাহ মুক্ত একটি উপজেলা। শেডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবুল কালাম জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, লিফলেট বিতরণ, পথ নাটক, উঠান বৈঠক ও বাল্য বিবাহের ঝুঁকিতে থাকা কিশোর- কিশোরীদের নিয়ে বিভিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। তাদের কার্যক্রমের ফলে বিগত ১ বছর ধরে গ্রামটিতে কোনো বাল্যবিবাহ সংগঠিত হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসী বাল্যবিবাহ মুক্ত গ্রাম ঘোষণা করায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শেড ও ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।