ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতলক্ষ্যার তীরে অবৈধ বালুর ব্যবসা

শীতলক্ষ্যার তীরে অবৈধ বালুর ব্যবসা

অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সম্পত্তি দখল করে অবৈধ বালুর ব্যবসা করেছেন প্রভাবশালীরা। নদীর তীর ও রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়ক ঘেঁষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বালুর স্তূপ করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ওই এলাকাবাসী ও রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়কে চলাচলরত যানবাহন পথচারী। বালুর পানি সড়কে এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকায় মুড়াপাড়া মৌজার ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং আরএস দাগের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটি এর প্রায় ৩ বিঘা জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জব্বার মিয়া। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি করছেন এ প্রভাবশালী ব্যক্তি। রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়কের পাশে বালু বিক্রি করায় এখানে প্রতিনিয়তই যানজটের সৃষ্টি হয়। বালুর গদির পাশেই ৫ শতাধিক পরিবারে গণবসতি এলাকা। বাতাসের গতি একটু বাড়লেই এখানকার বালু উড়ে এসে ঘরের ভেতর পড়ে। এসকল ধুলাবালুর কারণে ছোট বড় সকলেই ভোগছে ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে। শুধু তাই নয়, বাতাসে এ বালু উড়ে পড়ে সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও পথচারীদের চোখে মুখে। এতেও প্রতিনিয়তই এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও এর কোনো সুফল পাননি তারা। এ সড়কে নিয়মিত চলাচলর কভারভ্যান চালক হান্নান মিয়া বলেন, পূর্বাচল থেকে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ আসা যাওয়া করি। এরকম একটি ব্যস্ততম সড়কের পাশে বালুর স্তূপ দিয়েছে বাতাস আসলেই বালু চোখে এসে পড়ে। তখন চোখে কিছু দেখতে পাই না। এ বালুর কারণে চোখের অনেক ক্ষতি হয়। ইজিবাইক চালক জামান বলেন, আমি হাটাবো থেকে মুড়াপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রতিদিন অটো চালাই। আমরা মুড়াপাড়া বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে হাটাবোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ঋষিপাড়া এলাকায় পৌঁছালেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে জব্বার মেম্বারের বালু ও পাথরের গদি থেকে বাতাসের সঙ্গে বালু উড়ে রাস্তা পুরো ঘুলা হয়ে যায় এবং আমাদের ও যাত্রীদের শরীরসহ পুরো গাড়ির গ্লাস বালু দিয়ে ভরে যায়, এমনকি আমাদের চোখেও বালু যায় এতে করে আমাদের অটো ড্রাইভার, যাত্রী ও সাধারণ জনগণের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। ইজিবাইকের যাত্রী সিরাজ মিয়া বলেন, রাস্তার পাশে বালু ও পাথরের গদি থেকে ট্রাক ও পিকআপ দিয়ে বালু ও পাথর আনা নেওয়ার কারণে ঘুরা পাথর থেকে পাথরের বড় খোয়া সড়কের রাস্তার উপরেই পরতে থাকে। এ পাথরের কারণে আমরা দেখি অনেক সময় গাড়ি চালকরা গাড়ি জায়গা মতো থামাতে পারে না। এ কারণেই এ সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জব্বার মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে শীতলক্ষ্যা নদী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা, মসজিদের জায়গা দখল করে বালুর ব্যবসা করতাছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত