শ্যামনগরে অনিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার

ভোগান্তিতে সেবাপ্রত্যাশীরা

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

শ্যামনগরে সাব-রেজিস্ট্রার জুবায়ের হোসেন অনিয়মিত অফিস করার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে সরকার ব্যাপকভাবে রাজস্ব বঞ্চিত হবারও অভিযোগ উঠেছে। প্রতি সপ্তাহে ৫ দিন অফিস করার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার বিভিন্ন অজুহাতে দুই দিন, একদিন বা তিন দিন অফিস করায় দূরদূরান্ত থেকে রেজিস্ট্র্রি করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা হচ্ছে হয়রানি ও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অভিযুক্ত জুবায়ের হোসেন বিভিন্ন সময় ছুটিতে থাকছেন যে কারণে দূরদূরান্ত থেকে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা রেজিস্ট্র্রি করতে এসে সাব-রেজিস্ট্রারকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ভুক্তভোগিরা জানান, সাব-রেজিস্ট্র্রার নির্দিষ্টভাবে জানান না যে, তিনি কোন দিন অফিসে থাকবেন আর কোন দিন থাকবেন না। হঠাৎ ক্রেতা-বিক্রেতারা রেজিস্ট্র্রি করতে এসে জানতে পারেন তিনি ছুটিতে। এক ক্রেতা বলেন, আমি একজন চাকরিজীবী নরসিংদি থেকে এসেছি জমি রেজিস্ট্র্রি করতে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রেজিস্ট্রি অফিসে এসে জানতে পারলাম তিনি ছুটিতে। তাহলে আমরা কিভাবে রেজিস্ট্রি করব এক দিনের বেশি আমার ছুটি হয়নি। গত বুধবার চট্টগ্রাম থেকে ছুটি নিয়ে আসা এক চাকরিজীবী রাসেদুল জানান, আমার বাড়ি শ্যামনগরে গাবুরা ইউনিয়নে দুই দিনের ছুটি নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে এসেছি। এসে জানতে পারি সাব-রেজিস্ট্রার ছুটিতে আছেন। ৩ সপ্তাহ আগেও ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছি তখনও দেখতে পাই সাব-রেজিস্ট্রার নেই। তাতে আমি জমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে ফিরে গেছি। গত বুধবারও একই অবস্থা তাহলে কীভাবে জমি রেজিস্ট্রি করব। এদিকে ২০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি তাতে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

দুরমুজখালী গ্রামের মধুজিত জানান, আমি সরকারি চাকরিজীবী পরপর ৩ সপ্তাহ বরিশাল থেকে ছুটি নিয়ে রেজিস্ট্রি করতে আসলাম এবং এতগুলো টাকা নিয়ে আসলাম সেভাবেই আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। ছুটি তো পাওয়া যায় না তার পর অনেক দূরে অফিস সেখান থেকে আসা অনেক খরচের ব্যাপারও। কৈখালী গ্রামের সিবুপ্রসাদ জানান, আমার কর্মস্থল দিনাজপুর মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করব সে মোতাবেক বার বার এসে জানতে পারি তিনি ছুটিতে সে কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি না। প্রায় সপ্তায় দেখা যাচ্ছে সাব-রেজিস্ট্রার হঠাৎ ছুটিতে কোন সপ্তায় এক দিন কোন সপ্তায় ৩ দিন কোন সপ্তায় ২ দিন কোন সপ্তায় একবারেই অফিস করনে না এমনও দেখা যায়। এভাবে অনিয়মিত অফিস করায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা হচ্ছে হয়রানির শিকার। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাজ কম থাকায় ছুটি নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত কাজ করতে হচ্ছে।