ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মৌসুমেও সবজির দাম দ্বিগুণ

মৌসুমেও সবজির দাম দ্বিগুণ

বাজার শীতের সবজিতে সয়লাব হলেও কিনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বাগেরহাটের মানুষজন। ফুলকপি থেকে শুরু করে বেগুন, টমেটো, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকার নিচে মিলছে না। ক্রেতারা বলছেন, এ দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। আর বিক্রেতারা বলছেন, কেনা দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। ফকিরহাটের একটি সরকারি কলেজ শিক্ষক পার্থ সাহা জানান, শীতের এই ভরা মৌসুমেও তারা প্রয়োজন মাফিক সবজি কিনতে পারছেন না। তার অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বেশি নিচ্ছে। প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং থাকলে এমন অবস্থা হতো না। গতকাল সকালে বাগেরহাটের পাইকারি আড়ত এবং খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শীতের সবজিতে বাজার সয়লাভ। আলু প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০, বেগুন ৭০, টমেটো ৪০, ফুলকপি প্রতি কেজি ৬০, শিম ৫০ টাকা আর লালশাক ও পালংশাকের ছোট ছোট আঁটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানচালক রুস্তম আলী জানান, পাঁচজনের সংসারে সবজির বাজারে এলে হিমশিম খেতে হয়। কোনো রকম সবজি কিনতে গেলে কমপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লগে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক সবজি কিনতে হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা বলেন, গত বছর মাঘ মাসের এই সময়ের তুলনায় বর্তমানে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ। বাজারে এসে তাদের মনে হয় না কোনো মনিটরিং আছে। নিকুঞ্জ, রমজান, সিদ্দিক, জাকির, দুলালসহ বেশ কয়েক জন খুচরা বিক্রেতা জানান, তাদের কিছুই করার নেই। সামান্য কিছু লাভে বিক্রি করছেন। গত বছর শীতের এই সময়ে ফুলকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু এ বছর ৫০ টাকা। আড়তদার মিজানুর রহমান জানান, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় বাগেরহাটে অনেক সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। এ কারণে চাহিদার তুলনায় বাগেরহাটে সবজি কম রয়েছে। সবজির দাম বেশি এ বিষেয়ে তাদের কিছু বলার নেই। তারা তাদের আড়তে সবজি বিক্রি করে শুধুমাত্র কমিশন পায়। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, বাগেরহাটে এবছর শীতকালীন সবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে সবজির কমতি নেই। দাম বেশি হওয়ার বিষয় বলা কঠিন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, বাজারে শীতের সবজির মূল্য বেশি এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাজার কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। সবজির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্য মেকানিজমও কাজে লাগানো হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত