ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গরম কাপড়ের সংকট

শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

পাবনায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা এবং হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত ও ডায়রিয়া রোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ১৪ জন ডায়রিয়া রোগীসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ১১৫ ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি শিশু রয়েছে।

এছাড়া গেল সাতদিনে ৫ শতাধিক মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ বয়সের মানুষই বেশি। গতকাল পাবনায় তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনা শহরসহ পদ্মা-যমুনা নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ তীব্র শীতে কাঁপছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে শীতের দাপট। কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। মাঝে মধ্যে সূর্ষের দেখা মিললেও তা উত্তাপহীন। চরাঞ্চলসহ শীতার্ত মানুষের মধ্যে গরম কাপড়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড শীতে চরাঞ্চলের বাসিন্দা ও শ্রমজীবী মানুষ মহাবিপাকে পড়েছেন। তারা ঠিকমতো কাজ কর্ম করতে পারছেন না। পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার সিভিল সার্জন অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বেড়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শীতজনিত রোগী ভর্তি বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পাবনা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, পদ্মা ও যমুনা নদীর চরাঞ্চলের ২ লাখসহ জেলায় কমপক্ষে ৫ লাখ শীতার্ত মানুষের গরম কাপড় দরকার। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন থেকে যে কম্বল দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। পুরাণ ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এএম রফিক উল্লাহ বলেন, তার ইউনিয়নে কমপক্ষে ৭ হাজার কম্বল দরকার। কিন্তু দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৫০টি কম্বল। পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত শীতার্তদের মধ্যে ৪৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তীব্র শীতে স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত