মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

লোকবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোডশেডিংয়ের কারণে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রায়ই লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়তে হয় ডাক্তার ও রোগীদের। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক সময় জরুরি সিজারিয়ান অপারেশনের রোগীকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় ডাক্তারদের। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালের উন্নতি হয়েছে শুধু নামেই। নতুন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল দেওয়া হয়নি। ৩৬ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১৯ জন। কার্ডিওলজি, ইএনটি, এনেসস্থেসিয়া, সার্জারি, চর্ম ও যৌন কনসালটেন্ট পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। স্বাস্থ্য সহকারী ৫০টি পদের মধ্যে ১৮টি পদ শূন্য। স্টাফ নার্স থাকার কথা তিনজন, আছেন মাত্র একজন। কোনো স্টোর কিপার না থাকায় আয়া, মালি দিয়ে চলছে স্টোরের কাজ। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ৩টি পদের ২টি শূন্য রয়েছে। মেডিকেল টেকনিশিয়ান (রেডিওগ্রাফি) না থাকায় এক্সরে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। দন্ত বিভাগে নেই টেকনিশিয়ান, চক্ষু বিভাগে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য কোনো রুম না থাকায় রোগীদের বাইরে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। ট্রমা সেন্টার না থাকার কারণে হাড় ভাঙ্গা রোগীদের কোনো চিকিৎসা করা যাচ্ছে না এখানে। কম্পাউন্ডার, ওটি বয়, ইমার্জেন্সি, এটেনডেন্ট, মালিসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ পদ শূন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, আমাদের পুরোনো বিল্ডিংয়ের জন্য আগের একটি জেনারেটর আছে। যেটি দিয়ে নতুন বিল্ডিংয়ে কাভার দেওয়া যায় না। তাই বিদ্যুৎ না থাকলে সিজারিয়ান অপারেশনের সমস্যা হয়। আমাদের লোকবলসহ যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা দিয়ে রেখেছি। তবে কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তা বলতে পারছি না।