ভাই-ভাতিজার হাতে কলেজশিক্ষক বড় ভাই খুন

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমিতে আগাছা ফেলার প্রতিবাদ করায় কলেজশিক্ষক বড় ভাইকে পিটিয়ে মারল ছোট ভাই। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। নিহত শিক্ষক হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার সাজনধারা এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে রেজা সাইদ আল মামুন। তিনি উপজেলা চন্দ্রা এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ছিলেন। এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আফাজ উদিনের ছয় ছেলে ও চার বোনের মধ্যে পাঁচ নাম্বার ছিলেন সরকারি কলেজের শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুন। ওই শিক্ষকের বড় মেয়ে সূচনা আক্তারকে বিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ও স্ত্রী এবং এসএসসি পরিক্ষার্থী ইফতেখার আজিম প্রত্যায় ও ১ম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাফি নামে দুই ছেলেকে নিয়ে ছিল তার সংসার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাজেবলিয়াদী এলাকায় বংশাই নদীর ধারে নিজের ফসলি জমি দেখতে যান ওই শিক্ষক। সেখানে গিয়ে তিনি তার জমিতে কচুরিপানা দেখতে পান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মজিবর ও তার ছেলে সুমন তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের জিরানী এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নিয়ে যান এলাকাবাসী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় নিহতের শরীরে কাঁদা মাখা, আঙ্গুল ফাটা, গলা ফুলাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘাতক ভাই মজিবর রহমান ও তার ছেলে সুমন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান ও কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ভাই আরেক ভাইকে খুন করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখনো আসামী গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।