ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যশোরে জাতীয় পিঠা উৎসব

লোকগানের সুরে পিঠা খাওয়ার ধুম
যশোরে জাতীয় পিঠা উৎসব

পৌষের শীতের নরম বিকাল। যশোর শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে দুইধারে সারি সারি স্টল। এসব স্টলের টেবিলে থরে-বিথরে সাজানো বাহারি সব পিঠা। জামাইপুলি, ঝালজামাই, পাটিসাপটা, মালপোয়া, পুলি, নকশি, দুধচিতই, ক্ষীরকুলি, তিলপনির, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, সুন্দরী পাকানসহ শত রকমের পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে এসব স্টলগুলোতে। একটু দূরেই শিল্পকলার উন্মুক্ত মঞ্চ। সেখানে চলছে লোকগানের আসর। গত রোববার এমনই আবহে শিল্পকলায় উদ্বোধন হলো জাতীয় পিঠা ও লোক সংস্কৃতি উৎসবের। বাঙালির রসনা বিলাসের অন্যতম উপকরণ পিঠার স্বাদ নিতে প্রথমদিনই উৎসবে যোগ দেন শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দলবেঁধে এ উৎসবে মানুষ আসছেন, স্টল থেকে বাহারি সব পিঠার স্বাদ নিয়ে লোকগানের মনোরম পরিবেশনা উপভোগ করেন। দেশীয় পিঠার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে যশোর শিল্পকলা একাডেমি।

উৎসবের প্রথম দিন রোববার বিকেলে উদ্বোধন করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বাঙালি ও বাংলা ইতিহাস ঐতিহ্যেকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তারই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে আজকের এই পিঠা উৎসব। দীর্ঘ আবহমানকাল ধরে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যর মধ্যে পিঠা রয়েছে। কিন্তু কালের পরিক্রমায়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখে পরেই আমাদের এই ঐতিহ্যেগুলোতে হারাতে বসেছি। কিন্তু আমরা চাই না, এই ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে না যাক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত