লেট ব্লাইটে আলুর ফলন অর্ধেকে নামার আশঙ্কা

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘিতে লেইটব্লাইট রোগে আক্রান্ত আলু গাছ মরে যাচ্ছে। ছত্রাকনাশক ব্যবহার করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আলু উৎপাদনে অর্ধেকে নেমে আসার আশঙ্কা করছেন আলু চাষিরা। ব্যয়বহুল এই আবাদের অবস্থা এমন হওয়ায় কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। আদমদীঘির একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়। আলু গাছও বেশ তরতাজা হয়ে উঠছিল। আলুর দাম বৃদ্ধির কারণে এ বছরে উৎসব দেখা দেয় কৃষকের চোখে মুখে। কিন্তু হঠাৎ করে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে সেই কৃষকের আনন্দ। উপজেলার অধিকাংশ জমিতেই লেইটব্লাইটে আক্রান্ত হয়ে আলু গাছ কালো বর্ণ ধারণ করে আলু গাছ পচন ধরে মরে যাচ্ছে। কশাইগাড়ী গ্রামের আলুচাষি ধলু মিয়া জানায়, অধিক লাভের আশায় এবার ২২ শতাশং জমিতে তিনি আলু চাষ করেন। আলু গাছ ভালোই বেড়ে উঠছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের মধ্যে হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঠান্ডায় আলু গাছে পচন ধরে মরে যাচ্ছে। বাজারে প্রচলিত কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আমইল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ১৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। তিনি জানান এবার আলু বীজের দাম বেশি ছিল। প্রতিবিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোগের কারণে এবার আলু উৎপাদনে অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশাংকা করছেন তিনি। প্রয়োজনীয় ওষুধ ছিটিয়ে কোন সুফল মিলছেনা। ধারনা করা হচ্ছে বাজারে ছড়িয়ে পড়া নকল ওষুধের কারণে আলু ক্ষেতে ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানান, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে লেইটব্লাইট রোগ দেখা দিয়েছে। এতে আলু গাছ আক্রান্ত হচ্ছে।