মাধবপুরে চা বাগানে চলছে গাছ ছাঁটাই কাজ

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চা বাগানগুলোতে গাছ প্রুনিংয়ের কাজ চলছে। ফলে চা বাগানগুলো চিরাচরিত সৌন্দর্যের সবুজ রূপ হারিয়ে ধূসর রূপ ধারণ করছে। তবে স্থানীয় ভাষায় এ প্রুনিংকে বলা হয় ছাঁটাই। এ সময় বাগানের সেকশনজুড়ে চা বাগান গাছগুলোর মাথা একটি নির্দিষ্ট মাপে ছেঁটে ফেলা হয়। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে শীতকালে চা বাগানের উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। প্রকৃতির সহজাত নিয়মে এ সময়টিতে চা গাছের শাখায় শাখায় শুভ্র ফুল আসে। গাছে ফুল আসায় ও গাছের পাতাগুলো চা উৎপাদনের অনুপযুক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে চাপাতার উৎপাদন কমে যায়। দুটি পাতায় একটি কুঁড়ি থেকে সবচেয়ে ভালো মানের চা উৎপাদন হয়। পরবর্তী সিজনে ভালো মানের পাতা উৎপাদনের জন্য এ সময় চা গাছগুলো ছেঁটে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বৃষ্টি শুরু হলে এসব নতুন চা পাতা ও কুঁড়ি থেকে উৎপাদন হয় উন্নতমানের চা। মাধবপুর উপজেলায় ৫টি চা বাগান আছে। ইতিমধ্যেই সবগুলো চা বাগানের সেকশনগুলোতে শুরু হয়েছে চা গাছ ছাঁটাইয়ের কাজ। টিলা অফিসের আওতাধীন নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা প্রুনিংয়ের সময় পার করছেন। প্রুনিং রয়েছে নানা ধরনের। যেমন- কলার প্রুনিং (গলা কাটা ছাঁটাই), মেডিয়াম প্রুনিং (মধ্যম ছাঁটাই), লাইট প্রুনিং (হালকা ছাঁটাই), লো প্রুনিং (নিচু ছাটাই), ক্লিন প্রুনিং (পরিষ্কার ছাঁটাই)। গাছের বয়স মাটির উর্বরতা প্রবৃদ্ধির দিক বিবেচনা করে প্রতিটি সেকশনের জন্য আলাদা আলাদা প্রুনিং নির্বাচন করা হয়। ছাঁটাই শেষে পাঙ্গাস থেকে চা গাছ রক্ষায় শৈল্যচুন ছিটিয়ে দেওয়া হয়। প্রুনিং করার পর চা বাগানের চিরাচরিত সবুজের প্রকৃতি ধূসর বর্ণ ধারণ করে। এরপর বৃষ্টির আগেভাগে বাগানে জৈব ও রাসায়ণিক সার প্রয়োগ করা হয়। এতে করে বর্ষার শুরুতে চা গাছগুলো নতুন পত্র পল্লবীতে ছেয়ে যায়। আবারও চেনা সবুজ প্রকৃতির রূপ ধারণ করে। এই চিরচারিত নিয়মের মধ্যে দিয়ে চা বাগানগুলোতে আরো একটি নতুন বছরের উৎপাদনের পথে যাত্রা শুরু হয়।