ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তির পথে গমচাষ

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গত ৬ বছরের গমচাষের হিসাব বিশ্লেষণ করলে অনুমান করা যায় গমচাষ ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্ত হতে বসেছে গমচাষ। একসময় সারা দেশের পাঁচভাগের এক ভাগ গম উৎপাদন হতো উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। জেলার চাহিদা পূরণ করে গম রপ্তানি হতো দেশের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য জেলাতেও। কিন্তু সেসবই অতীত। গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে ধীরে ধীরে কমেছে গমচাষ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী হিসাব বলছে, ২০১৬-১৭ চাষ মৌসুমে জেলায় গমচাষ হয়েছিল ৬৭ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে, ২০১৭-১৮ চাষ মৌসুমে ৬১ হাজার হেক্টর, ২০১৮-১৯ চাষ মৌসুমে ৫০ হাজার ২২০ হেক্টর, ২০১৯-২০ চাষ মৌসুমে ৫০ হাজার ৬৫০ হেক্টর, ২০২০-২১ চাষ মৌসুমে ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর, ২০২১-২২ চাষ মৌসুমে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে গমচাষ হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২২-২৩ চাষ মৌসুমে তা আরও কমেছে। এ বছর গমচাষ হয়েছে ৩১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছর চাষ মৌসুমে জেলায় ৪৪ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমিতে গমচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে গম উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ৩০ মণের বেশি গম পাওয়া যায় না। এতে লাভ কম হয়। তাই আলু উত্তোলনের পরপরই আগাম ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টায় একই খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায় এবং দামও বেশি পাই। কেন গম চাষে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা, এমন প্রশ্ন নিয়ে গমচাষে বিমুখ কৃষকরা জানান, গমের চেয়ে ভুট্টা ও আলু বেশি উৎপাদন হয়। তাই তারা গমের পরিবর্তে আলু, আগাম ভুট্টা ও সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন। এছাড়াও বীজ সংকট, বীজ পেতে ভোগান্তি, বীজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে চড়া দাম, গম ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেট, সরকারের নির্ধারিত দামে কৃষকদের অখুশিসহ নানা সমস্যা উঠে আসে কৃষকদের মুখ থেকে।