পাখি তাড়াতে ধানখেতে সাঁটানো হচ্ছে পলিথিন

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

রোপণকৃত ধানের চারা যাতে পাখিরা নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য অভিনব কায়দায় কৃষকরা ধানখেতের জমিতে ব্যবহার করছেন পলিথিন। বাঁশের ছোট ছোট কঞ্চির খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে খেতে। সে খুঁটিতে সাঁটানো হয়েছে পলিথিনের টুকরো। বাতাসে পলিথিনের শব্দে ধানখেতে বসতে পারে না বকসহ অন্যান্য পাখি। পলিথিনের শব্দে ভয় পেয়ে তারা চলে যায়। আমুলা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন বলেন, মাসখানেক আগে ধানের চারা রোপণ করি। শুরুতে ধানের চারা রোপণকালে চারাগুলো নরম থাকে। এ সময় বক, বালিহাঁসসহ নানান প্রজাতির পাখি জমিতে বসে। এতে করে পাখির পায়ের চাপে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে ধানখেতে পলিথিন সাঁটানো হয়েছে পাখি তাড়ানোর জন্য। সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা বিল, আমুলা বিল, তারাই বিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জমিতে ধানের চারা রোপণের পর থেকে বকসহ নানান প্রজাতির পাখিদের পোকা দমনে বসতে দেওয়া হয় না। কৃষকদের ধারণা পাখির পায়ের চাপে নষ্ট হয় রোপণকৃত ধানের চারা। তাই ক্ষেতে বাঁশের খুঁটিতে পলিথিন বেঁধে রাখলে পাখি আসতে পারে না। নিকলা গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, এর আগে বিলে আমি প্রায় ৭৬ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপন করেছিলাম। কিছু দিন পর জমিতে গিয়ে দেখি ধানের চারা পাখিদের পায়ের চাপে মাটিতে মিশে গেছে। তাই অন্য কৃষকদের দেখে এবার পলিথিন সাঁটিয়েছি। যার কারণে পলিথিনের শব্দে বক বা বালিহাঁস ধানখেতে ভয়ে আসতে পারেনি, ধানের চারা নষ্ট হয়নি। ফলন ভালো হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) দুলাল উদ্দিন বলেন, ধানের চারা রোপণের পর ক্ষেতে বকসহ বা অন্যান্য পাখি বসলে পায়ের চাপে রোপণকৃত ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে কৃষকরা এসব পাখি তাড়ানোর জন্য জমিগুলোতে অভিনব কায়দায় পলিথিন সাঁটিয়ে থাকে। এটা কোনো খারাপ প্রভাব ফেলবে না। তবে প্যাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভালো হয়।