ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বগুড়ায় পিঠা উৎসব

বগুড়ায় পিঠা উৎসব

নতুন বছর শীতকে বরণ করে স্কুল শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাহারি পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করাতে গতকাল বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও বগুড়া ওয়াইএমসিএ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যৌথভাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি মন মাতানো সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে নেচেছে শিক্ষার্থীরা। পৃথক পৃথক স্টলে নানা রকম পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে রাখা আছে। এর মধ্যে কতিপয় পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতিপরিচিত। প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিতি নাম। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। স্কুলের আরেক পাশে চলছে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন। সেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীরাই দেখাচ্ছে নৃত্য, শোনাচ্ছে মত মাতানো গান। পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অনিন্দ্য মিলনমেলায়। মেলায় ১২টি পৃথক স্টলে ছিল জামাই পিঠা, নারিকেল পুলি পিঠা, ভালো কুশরী পিঠা, ডিম পিঠা, মাছ পিঠা, খেজুর পিঠা, দুধ কদম পিঠা, পাটি সাপটা পিঠা, রস কদম পিঠা, ভ্যানিলা পেস্টি, কললেট পেস্টি, শংক পিঠা, তেল পিঠা, গোলাপ পিঠা, লাভ পিঠা, ভাপাপুলি, দুধপুলি, পুডিং, দুধ চিতই, রস গোলাপ ও কেকসহ অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী বলেন, এত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সমাগম হবে ভাবতেই পারিনি। এই আয়োজনে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে শীত এবং পিঠা যেন একে অপরের পরিপূরক এটি মনেপ্রাণে লালন করার নিমিত্তেই আমাদের এ ধরনের আয়োজন। আগামীতে আরো বড় পরিসরে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে। পিঠা মেলায় অংশ নেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মাইকেল আশের বেসরা, উপাধ্যক্ষ প্রভাতি কাজী নাজনীন জাহান, সহকারী প্রধান শিক্ষক পারভিন আকতার, অর্থ সম্পাদক টোনাম সরকারসহ প্রমুখ। মেলায় আরেকটি আকর্ষণ গ্রামবাংলার ঐতিহ্য চরকিতে ওঠে উচ্ছ্বসিত হয় শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত