জয়পুরহাটে ভরা মৌসুমেও আলুর দাম বাড়তি

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আলু উত্তোলনের ভরা মৌসুমেও জয়পুরহাটের খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি আলু ৪০-৫০ টাকা। অথচ কৃষকরা পাচ্ছেন ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি। নিয়মিত বাজার তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। খুচরা বাজারে আলুর বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে স্বীকার করে স্থানীয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর শীর্ষ কর্মকর্তা রতন কুমার রায় বলছেন, খুব শীঘ্রই প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হবে।

জানা গেছে, মৌসুমে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে আলু উৎপাদনের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে থাকা জয়পুরহাট জেলায় এবার ৩৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যা থেকে ৯ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টন আলু উৎপাদন হবে। গেত ডিসেম্বর মাস থেকে জয়পুরহাটের বিভিন্ন মাঠে আলু তোলা শুরু হয়েছে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকার কারণে এবার আড়তদাররা সরাসরি মাঠে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করছেন। কৃষকেরা বলেছেন- বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ প্রতি বিঘা আলু উৎপাদনে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ করে পাইকারি বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকার উপড়ে দাম মিলছে না। অথচ খুচরা বাজারে দাম চড়া। জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী মণ্ডল পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান ও ক্ষেতলাল উপজেলার ফকির পাড়া গ্রামের কৃষক আলাল হোসেন বলেন, বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ প্রতি বিঘা আলু উৎপাদনে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ করে পাইকারি বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকার উপড়ে দাম মিলছে না। অথচ খুচরা বাজারে দাম চড়া। পাইকারি বাজারে যখন মূল্য বেশি হয় তখন প্রশাসন মাঠে নামেন। এখন ভরা মৌসুমেও যখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা কিনে খেতে হচ্ছে তখন প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই। এদিকে ভরা মৌসুমেও খুচরা বাজারে আলুর দাম না কমায় বাজারে গিয়ে আয় ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না স্বল্প আয়ের ক্রেতারা। এ জন্য তারা বাজার তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন। তবে পাইকারি মোকামে বেশি দামসহ নানা অজুহাত দিচ্ছেন খুচরা দোকানিরা। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হারুঞ্জা বাজারে হাট করতে আসা মণ্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলী আজম অনেকটা ক্ষোভ করে বলেন, আমার ৫০ বৎসরের এই জীবদ্দশায় ভরা মৌসুমে কোনো দিন ৫০ টাকায় আলু কিনে খেতে হয়নি। বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা আজ কোথায়? কাউকে দেখি না। জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলায় এবার স্টিক, কারেজ, গ্রানুলা, জাম আলু, ডায়মন্ড, কার্ডিনালসহ বিভিন্ন প্রজাতির আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কারেজ ও স্টিক আলু ৪০ টাকা, দেশি গুটি আলু ৪৫ টাকা ও জাম আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।