ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হবিগঞ্জ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জনবল সংকট

ব্যাহত হচ্ছে বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযান
হবিগঞ্জ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জনবল সংকট

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, উদ্ধার ও উদ্ধার পরবর্তী সেবা কাজসহ এই সংশ্লিষ্ট বহুমাত্রিক কাজ করে থাকে বন অধিদপ্তরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভিবাজার জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়। ওই কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলায় পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও হবিগঞ্জ জেলার কার্যালয়টিতে প্রচণ্ড লোকবল সংকট রয়েছে। মাত্র একজন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা, একজন বাগান মালি ও একজন নৈশপ্রহরী নিয়ে বেহালদশায় চলছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। লোকবল সংকটের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করলেন ওই কার্যালয়ের দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী। তিনি আরো জানান, বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযানের সরকারি খরচ বা বাজেটও মিলছে না। তিনি বলেন, হবিগঞ্জসহ আরো পাঁচ জেলার বন্যপ্রাণী উদ্ধার-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকান্ড করে থাকি। একজন মালিক ও একজন নৈশপ্রহরী ছাড়া অফিসের আর কোন স্টাফ নেই। তারপরও জানপ্রাণ দিয়ে বিশাল এলাকার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কার্যালয়টির অফিস সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলাসহ সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও নেত্রকোনা জেলার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারসহ যাবতীয় কাজ ওই বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের হবিগঞ্জ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় করে থাকেন। এদের কার্য এলাকার মধ্যেই রয়েছে লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা, হাকালুকি হাওর, বাইক্কাবিলসহ অসংখ্য হাওর-বাওর ও অভয়ারণ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র। অভিযোগ রয়েছে হবিগঞ্জ জেলার জাতীয় তথ্য বাতায়নেও এই অফিসের কোনো নাম ও তথ্য অন্তর্ভুক্ত নেই। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা আইসিটি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন অফিস থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি কেউ। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সীমিত লোকবল দিয়েও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি বন্যপ্রাণীর সেবামান সুনিশ্চিত করতে। তবে হবিগঞ্জের ওই অফিসের লোকবল সংকট নিরসনে আমরা অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করব। বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহবায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, এমন গুরুত্ব¡পূর্ণ একটি কার্যালয়ে তিনজন লোকবল দিয়ে ছয় জেলার বন্যপ্রাণী উদ্ধারে হিমশিম খেতে হচ্ছে এদের। ফলে অত্র এলাকায় বন্যপ্রাণীর উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এই সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেব। লোকবল সংকটের সমস্যা সমাধান না হলে সবাইকে নিয়ে মানববন্ধনও করতেও রাজি আছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত