দেবহাটায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী পারিবারিক বিরোধে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম হেমা পারভিন। সে দেবহাটা উপজেলার মাঝ সখীপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে। নিহত হেমা সখীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল। গতকাল সকাল ১১টার দিকে দেবহাটা থানা পুলিশ নিহতের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, হেমা তার পিতার নিকট থেকে জামা কেনার জন্য টাকা নিয়ে তার মায়ের কাছে রেখে দিয়েছিল। গতকাল সকালে হেমা তার মায়ের কাছে সেই টাকা থেকে ৫০ টাকা চায়। কিন্তু তার মা টাকা না দিতে চাইলে সে খুব রাগারাগি করে। পরে ঘর ফাঁকা পেয়ে হেমা তার উড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা ও পরিবারের লোকজনসহ পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘরে ঢুকে হেমার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক সবাই মিলে তাকে সখীপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হেমা তার বাবা-মায়ের বড় মেয়ে ছিল। তার ছোট আরেকটি বোন আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাকিব হাসান বাধন হেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।