দর্শনার্থীশূন্য হাতিয়ার লালচর সৈকত

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নোয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণে নিঝুম দ্বীপ। আবার উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে গেলে দেখা মিলবে লাল চরের। যেখানে মাইলকে মাইলজুড়ে ধু ধু বালিচর, সমুদ্র জলের ঢেউ আর লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি দেখে মনজুড়ে যায়। তবে সৈকতে মানুষের উপস্থিতি টের পেলে নিমিষেই লাল কাঁকড়া লুকিয়ে পরে বালির গর্তে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ দ্বীপ হাতিয়ার লালচর সমুদ্রসৈকত। চকচকে সাদা বালির বিশাল এ চর জেগে উঠেছে হাতিয়া উপজেলার বুড়িচর ইউনিয়নের দক্ষিণে এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। যার পশ্চিমণ্ডদক্ষিণে রয়েছে নিমতলী ও নিঝুম দ্বীপ। লাল কাঁকড়ার ছুটে চলার মিছিল-ই চরটির নাম রেখে ফেলে লালচর। হাতিয়ার উত্তর দিকের সাগুরিয়া বেড়িবাঁধ থেকে লালচরে যাওয়ার পথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি কেওড়া গাছ। ওখানে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। গরু, মহিষ, ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রাণির বিচরণও দারুণভাবে দর্শক দৃষ্টি কাটবে।

লালচরের বনাঞ্চল : উপজেলার সাগুরিয়া বনবিভাগের তথ্য মতে, বড়দেইল মৌজার পুরোনো চর আউয়ালের ১ হাজার একর জায়গাজুড়ে রয়েছে সুন্দরতম এ বনাঞ্চল। শীত এলেই এখানে দেখা মিলে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির। স্থানীয়দের কাছে যেটা লালচর নামে পরিচিত। এত কিছুর পরও সমুদ্রসৈকতটি দর্শনার্থী শূন্য। কারণ, সম্পর্কে স্থানীয় বনবিভাগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার মিত্র জানান, হাতিয়ায় এমনিতেই ছোট-বড় অনেকগুলো চর আছে। এর মধ্যে লালচরও একটি। নৌপথে যাতায়াতে অসুবিধা এবং চরটির আশপাশে থাকাণ্ডখাওয়ার ভালো ব্যবস্থা সৃষ্টি না হওয়াও দর্শনার্থী কমে যাওয়ার একটা কারণ। দিনের শুরুতে লালচর সমুদ্রসৈকতে এসে দাঁড়ালে দেখা যায় সমুদ্র থেকে ভেসে ওঠা লাল টকটকে সূর্য মৃদু কদমে সিঁড়ি বেয়ে ক্রমেই আকাশ পানে যাচ্ছি। আর সন্ধ্যায় দেখা মেলে সমুদ্রের ঢেউয়ে সেই সূর্য ক্রমেই মিশে যাচ্ছে। লালচর সমুদ্রসৈকত’কে পর্যটক আকর্ষণ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব মুর্শেদ লিটন জানান, নৌ-যাতায়াতসহ আবশ্যকীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পর্যটকরা নির্ভয়ে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সীবিচ সমূহের সৌন্দর্য উপভোগে আসতে পারেন। তাদের চলাফেরা এবং থাকার ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।