শখের ছাদবাগানে ৩০০ প্রজাতির ক্যাক্টাস ও সাকুলেন্ট

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

করোনাকালীন অবসর সময় কাটাতে ক্যাক্টাস ও সাকুলেন্ট সংগ্রহ করে বাড়ির ছাদ সাজাতে শুরু করেন গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি। শখের ছাদবাগানে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি প্রায় তিন শতাধিক ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট প্রজাতির গাছ। ছাদবাগান থেকে অনলাইনে ক্যাক্টাস ও সাকুলেন্ট গাছ বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা আয়ও করছেন যুথি। নিতান্তই শখের বসে গড়ে তোলা ছাদবাগান এখন যুথির আয়ের একটি উৎস। তবে চারা বিক্রির এসব টাকা তিনি অন্য কোথাও ব্যয় না করে বাগান বৃদ্ধিতে কাজে লাগাচ্ছেন। যুথির ছাদবাগানে গেলেই চোখে পড়বে লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সবুজসহ নানা রঙের সমাহার। যেদিকে তাকানো যায় দেখা মেলে বাহারি রঙের গাছ। ২০১৯ সালে ঈশ্বরদী পৌরসভার পেছনে নিজ বাড়ির ছাদে কয়েকটি টবে চারা লাগিয়ে বাগান চর্চা শুরু করেন গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে শখ। ৫ বছরে তার বাগান সমৃদ্ধ হয়েছে এঞ্জেল উইং, ক্রিসমাস, লেডিফিঙ্গার, প্যারোডিয়া, ইদুরের লেজ, ব্যারেল, চাঁদ, অ্যালো, ঘৃতকুমারী ও ঘৃতকাঞ্চন, জেব্রা প্ল্যান্ট, এচিভেরিয়া, এয়ার প্ল্যান্ট, স্যানসেভিরিয়া, পাথরকুচিসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন ধরনের তিন শতাধিক ক্যাক্টাস ও সাকুলেন্ট গাছে। যুথি জানান, করোনাকালীন সময় গৃহবন্দি থাকাবস্থায় বাগান করার পরিকল্পনা মাথায় আসে। প্রথমে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ছাদে ক্যাক্টাস ও সাকুলেন্ট জাতের অল্প কিছু চারা সংগ্রহ করি। তবে সময়ের সঙ্গে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে বিনিয়োগ ও চারা সংগ্রহ। বর্তমানে দেশি বিদেশি কয়েকশ’ জাতের চারা রয়েছে তার বাগানে। যুথি বলেন, আমাদের দেশের নারীরা নিজেদের স্বাবলম্বী করতে সবসময় একটা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। সবার বাইরে চলাফেরার সুযোগও হয় না। বাড়িতে থেকে যারা স্বাবলম্বী হতে চায় এই উদ্যোগ তাদের উৎসাহ দেবে। আমার মতো যারা বাগান তৈরিতে আগ্রহী আমি তাদের সব সময় পরামর্শ ও চারা সংগ্রহে সহযোগিতা করবো। যুথির স্বামী এনামুল হক বাবু বলেন, ছোটবেলা থেকে গাছের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা কাজ করে। আমি ঈশ্বরদী পৌরসভায় চাকরি করি। আমাদের বাগানটি বেশিরভাগ সময় আমার স্ত্রী পরিচর্যা ও দেখাশোনার কাজ করে থাকেন। আমি শুধু দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চারা সংগ্রহ করে দিই। বাগানটি এখন বাণিজ্যিক রূপ নেওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা অর্ডার করে থাকেন। চারাগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমি আমার স্ত্রীকে সহযোগিতা করি। নাম ছড়িয়ে পড়ায় শুরু করলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাগান দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।