কচুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নে রাবেয়া বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কুচয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বাইছারা সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের দাবি, রাবেয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত রাবেয়া উপজেলার খিলমেহের গ্রামের শেকান্দর মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১৪ বছর আগে বাইছারা সিকদার বাড়িতে প্রবাসী এরশাদ উল্লার সঙ্গে রাবেয়া বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাংসারিক জীবনে তাদের ঘরে রাকিব হোসেন, আবু রায়হান নামের দুই ছেলে ও সুমাইয়া আক্তার নামে এক মেয়ে রয়েছে। নিহতের বাবা শেকান্দর মিয়া জানান, বিয়ের পর জামাই এরশাদ প্রবাসে কর্মরত। মেয়ে রাবেয়ার সঙ্গে জামাতা এরশাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। পারিবারিকভাবে তারা সচ্ছল থাকায় জামাইয়ের বাবা, ভাই-বোনরা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এই কথাগুলো রাবেয়া প্রায়ই আমাকে বলত। তার দাবি, মেয়ের শ্বশুর রোস্তম আলী সিকদারসহ পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মেয়েকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। এর আগেও রাবেয়ার ভাসুর, দেবর ও শ্বশুর আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১টার সময় মেয়ের ভাসুর কামাল সিকদার কল দিয়ে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান। খবর পাওয়ার পরপরই রাতে ছুটে আসি মেয়ের বাড়িতে। এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নিহতের শ্বশুর রোস্তম আলী সিকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কী কারণে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে, তা আমাদের জানা নেই। নিহতের স্বামী এরশাদের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে, বিচার দাবি জানাই। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।