ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে নিহতের ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি বাজারে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। নিহতের স্ত্রী মোসাঃ রৌশনারা জানান, তিনি এবং তার বোন মনোয়ারা বেগম পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে বহু বছর ধরে ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি মৌজায় ১ একর ৮৫ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বিগত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে জায়েদ হাসান জাহিদুল ও তারেক মিয়া তাদের জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। গত ১৪ জানুয়ারি জাহিদুল ও তারেকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের বসতভিটার পাশের জমি ও কবরস্থান দখলের জন্য কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তারা বাধা দেন। এ সময় জাহিদুলের এলোপাতাড়ি আঘাতে তার স্বামী মোঃ আপ্তাব উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরের দিন নিহতের স্ত্রী মোসাঃ রৌশনারা বাদী হয়ে জাহিদুল ও তারেকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিঠুন বৈদ্যের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে আসামিরা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলার বাদীসহ নিহতের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মামলার এজাহার কপিটিও তার নির্দেশ মতো লেখার কারণে হত্যা মামলাটি অন্যদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। এ সময় বক্তব্য দেন ঘাগটিয়া চালা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুজ্জামান, নিহতের স্ত্রী মোসাঃ রৌশনারা, মনোয়ারা বেগম প্রমুখ। কাপাসিয়া থানার এসআই মিঠুন বৈদ্য জানান, মামলার এজাহারের কপি লেখার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। আর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত