মিঠাপুকুরে নিঃস্বার্থ সমাজকল্যাণ যুব সংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

‘আমরা সচেতন যুব মহল, করে দিব সমাজ বদল’- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজলার ৭নং লতিবপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে নিঃস্বার্থ সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সারাদিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিকালে প্রায় তিন শতাধিক অসহায়ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে মাত্র ১৮ জন সাহসী যুবক নিয়ে এই নিঃস্বার্থ সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের পথযাত্রা শুরু হয়। তা খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

এই সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, অসহায়দের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ, দরিদ্রদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান, গরিব-দুঃখী মানুষের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান, অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের পুনরায় বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা, সমাজের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। এছাড়া সমাজের সব অনিয়ম দূর করতে সংগঠনটি নিরলস ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমি এই সংগঠনের সাথে আছি। এই সংগঠনের রেফারেন্স নিয়ে আমার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তার চিকিৎসা আমি বিনামূল্যে করব। উপজেলার দিনমজুর মন্টু মিয়া বলেন, বাহে মোর ঔষুধ কেনার টাকা নাই এরা মোক প্রতি মাসে ঔষুধ কিনে দেয়। মোছাঃ আনিছা বেগম বলেন, মোর এই দুনিয়াত কেউ নাই। এরা মোক প্রতি মাসে চাউল, ডাল, আটা, চিনি, তেল আরো মেলা কিছু দেয়। এলাকাবাসীর দাবি, নিঃস্বার্থ সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ যেন এভাবেই সারা জীবন গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের সাহায্যে সব সময় এগিয়ে আসে। নিঃস্বার্থ সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান মারজান (হৃদয়) বলেন, এটি একটি আদর্শ সংগঠন।

আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে চেষ্টা করি গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে। আমরা চাই সমাজে যাতে কোনো মানুষ অনাহারে কষ্ট না করে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য সমাজের নিম্ন স্তরের মানুষকে সহযোগিতা করা এবং একটি সুস্থ সমাজ উপহার দেওয়া।