পাবনায় ঘন কুয়াশায় রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বীজতলাসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রোপণকৃত ধানের চারা হলুদ ও লালচে রং ধারণ এবং রসুনের গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কোল্ড ইনজুরির কারণে পেঁয়াজ, গম, মরিচ, মসুরি, সরিষা ও ভুট্টার খেতে পোকার আক্রমণে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান রয়েছে ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর ও উফশী জাতের ধান রয়েছে ৪৭,০০০ হাজার হেক্টর জমিতে। বর্তমানে বোরো ধান রোপণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ ৫৩,২৭৫ হেক্টর, রসুন ৯,৫০০ হেক্টর, সরিষা ৫০ হাজার ৩৫ হেক্টর, গম ২৪,০০০ হেক্টর, আলু ৮৫০ হেক্টর, ভুট্টা ২, ৫৮০ হেক্টর, মসুরি ৯,৫৬০ হেক্টর, সবজি ২১,৩০০ হেক্টর, মরিচ ৫২৫ হেক্টর, খেসারী ১৪,৫৯০ হেক্টর, মটর ১,১৮২ হেক্টর, কালোজিরা ৪৩০ হেক্টরসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ হয়েছে। পাবনা সদর ও সাঁথিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম সজেমিন ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও রোপণকৃত চারা হলুদ ও লালচে রং ধারণ করেছে। ফলে এবার আবাদ নিয়ে কৃষকরা মারাত্মক হুমকি হয়ে পড়েছে। অপরদিকে কোল্ড ইনজুরির কারণে ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ছত্রাকজনিত নানা রোগ। বোরো ও বরিশস্যের ক্ষেতে বালাইনাশক ওষুধ স্প্রে করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। পেঁয়াজ ও রসুন বপণের পর শুরু হওয়া তীব্র শীতে গাছের পাতাগুলো হলুদ বর্ণের হয়ে শুকিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ শতাংশ রবিশস্য ও শাকসব্জি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, কিছুদিন ঘন কুয়াশা ও শীত বেড়ে যাওয়ায় রোপণকৃত চারার গ্রোথ ভালো হয়নি। তবে শীত কম হলেই সবই ঠিক হয়ে যাবে এতে চিন্তার বা ক্ষতির কোনো কারণ নেই। তিনি আরো জানান, শীতের প্রকোপ থেকে বিভিন্ন রবিশস্য রক্ষায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করছেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা।