পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি

গ্রেপ্তার পাঁচ

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, চাঁদাবাজি এবং মারধর করে হুমকি প্রদানের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের সেনুয়াপাড়া বাজারের করবস্থান মোড় সেনুয়াপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি গত শনিবার রাতে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- শহরের সেনুয়াপাড়া এলাকার মো. শামীম, একই এলাকার মতিউর রহমান ওরফে মতির ছেলে মো. তরিকুল, হলপাড়ার মো. মাহমুদ খানের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে কাবির খান, জমিদার পাড়ার দিপু দাসের ছেলে কিশোর দাস ওরফে ভবো ও ঘোষপাড়ার সাধন দাসের ছেলে জয়ন্ত দাস।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. গোলাম আজম মামলার বরাত দিয়ে জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শামীম ও তরিকুল পরিকল্পিতভাবে শহরের দুলালের নরসুন্দর দোকানের দু’জন ও আরও একজনসহ অটোযোগে ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে সেনুয়াপাড়ার একটি বাগানে তাদের নিয়ে যায়। ওই বাগানে আগে থেকেই আসামিদের মধ্যে আরও ৩-৪ জন ওঁৎ পেতে ছিল। এ সময় পরিকল্পনা অনুসারে শামীম ও তরিকুল সেখান থেকে সটকে পড়ে অর্থাৎ চলে যায়। এরপর তারা দুলালের নরসুন্দর দোকানের দু’জন ও আরও একজনকে সেখানে আটক করে রাখে। তারা পুলিশ পরিচয়ে ওই তিনজনের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বলা হয় যে টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে ওই তিনজনকে মারধর করেন তারা। ভয়ভীতি ও মারপিটের একপর্যায়ে তিনজনের কাছে থাকা মোট ২২ হাজার ২৮৫ টাকা ও একটি মোবাইল হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র। এরপর আসামিদের দাবি অনুযায়ী আরও টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে প্রতারণার শিকার ও ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করে মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দোষ স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের একজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, শনিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। এছাড়াও মামলাটি তদন্তপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।