বেনাপোলে ৩ মাস ধরে অকেজো স্ক্যানিং মেশিন

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বেনাপোল প্রতিনিধি

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে ৫ কোটি টাকার কন্টেইনার স্কেনিং মেশিনটি গত ৩ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে আছে আমদানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক স্কেনিংয়ের কাজ। ফলে আমদানিকৃত পণ্যের ট্রাকের মধ্যে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আছে কি না সেটি ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

চীনা সরকার ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বেনাপোলে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কন্টেইনার স্কেনিং মেশিনটি স্থাপন করে। স্থাপনের পর একজন চীনা ইঞ্জিনিয়ার ৩ মাস ধরে কাস্টমস অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেন। বেশ কিছু দিন চলার পর গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এটি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে মেশিনটি কার্যকর করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছেন। অবশ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে। সরকার কন্টেইনার স্কেনিং মেশিনটি বসিয়েছে পণ্য দ্রুত খালাশের জন্য। স্ক্যনিং মেশিনটি পণ্যবোঝাই ট্রাকের পণ্য ছবি আকারে স্ক্যানিং করে কম্পিউটারে ধারন করে রাখে। কোনো অনিয়ম দেখলেই স্ক্যানিং মেশিনে রেড সিগনাল দিয়ে পণ্যটি দেখিয়ে দেবে। যেসব পণ্য স্ক্যানিং সম্পন্ন হবে সেসব পণ্য পুনরায় আর এক্সামিনেশন করা দরকার নেই।

বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস বলছে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। অত্যাধুনিক মেশিনটি আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। চায়না ইঞ্জিনিয়ার চলে যাওয়ার পর মেশিনটি পরিচালনা দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে একটি অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানো আছে যা প্রত্যেকদিন ভারত থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার যাত্রী আশে প্রত্যেকটা যাত্রি ব্যাক চেকিং করা হয় পাশাপাশি গত কালকে ৩ আরচুয়েট মেশিন বিজিবি তাদের জায়গায় বসিয়ে চেকিং শুরু করেছে যেটা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।

বেনাপোল সিএনডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, অতি দ্রুত এই স্ক্যানার মেশিনটি সচল করা দরকার যাতে অবৈধভাবে কেউ বাংলাদেশে পণ্য না আনতে পারে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে কেউ যেন ব্যবসা না করতে পারে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা কন্টেইনার স্কেনিং মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পত্র দিয়েছি। আশা করি যতদ্রুত সম্ভব এটি মেরামত করা সম্ভব হবে এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।