শরীয়তপুরে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পদ্মা ও মেঘনা নদীতে বছরজুড়ে নিষিদ্ধ থাকলেও শরীয়তপুর শহরের একাধিক বাজার ও পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছের পোনা। আর এসব জাটকা বিভিন্ন দরে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। গত শনিবার সকালে শরীয়তপুর সুরেশ্বর ও বাঁশতলা মৎস্য আড়তে প্রকাশ্যেই এসব জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট চলমান আছে বলে জানিয়েছে শরীয়তপুর মৎস্য বিভাগ।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা বাজারের বিক্রেতা রঞ্জু জানান, তিনি এসব জাটকা ডামুড্যা বাজারের রুহুল আমিনের মৎস্য আড়ত থেকে কিনেছেন। প্রতি কেজি ২৮০ টাকা দরে কিনে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট সাইজের জাটকা বিক্রি করছেন ৩২০ টাকা এবং একটু বড় সাইজেরগুলো বিক্রি করছেন ৪৫০ টাকা কেজি দরে। তবে সবগুলো জাটকাই ১০ ইঞ্চিরও কম দৈর্ঘ্যরে। শরীয়তপুরের বেশিরভাগ বাজারে একাধিক মাছ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। বছরজুড়েই জাটকা ধরা নিষেধ। ইলিশ ডিম ছাড়ার পর নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত আট মাস জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষেধ থাকে। এ সকল মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না জাটকা ধরা ও বিক্রি করা কোনো অপরাধ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনূল হক বলেন, আমাদের জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে। গতকাল সদরের পালং বাজার, আংগারিয়া বাজার, নড়িয়া বাজার ও জাজিরা বাজারে গিয়েছি। নদীতে ও বাজারে এই অভিযান চলমান আছে। তিনি বলেন, বাজারে লিফলেট বিতরণ করে মানুষকে এসব বিষয়ে জানানো হচ্ছে। আমাদের কোনো কর্মকর্তা বসে নেই। তারা সকাল-বিকাল নদীতে নামেন। এরপরও কিছু লোক ফাঁকি দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে জাটকা নিয়ে আসেন। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং যেখানে যখন খবর পাচ্ছি ছুটে যাচ্ছি। মোবাইল কোর্ট চলমান আছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।