ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে ঘেরের বাঁধ ভেঙে ধানের খেত প্লাবিত

কেশবপুরে ঘেরের বাঁধ ভেঙে ধানের খেত প্লাবিত

যশোরের কেশবপুরের বিল বুড়ুলিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙে কৃষকের রোপণকৃত বোরো ধানের খেতসহ ২২০ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে।

এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বুড়ুলি খালের পানির চাপে মেজবা উদ্দিন মিল্টনের ওই মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙে পানি ঢুকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ কারণে ওই বিলে এবার বোরো আবাদ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এলাকাবাসী জানান, বোরো ধান আবাদ করার লক্ষ্যে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাছের ঘেরের পানি সেচ দিয়ে বুড়ুলি খালে ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু ওই খাল দিয়ে পানি ঠিকভাবে প্রবাহিত হতে না পেরে সম্প্রতি খাল সংলগ্ন মেজবা উদ্দিন মিল্টনের মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙে জমিতে পানি ঢুকে পড়ে। এতে কৃষকের প্রায় ৪০ বিঘা রোপণকৃত বোরো ধানের খেতসহ প্রায় ২২০ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। ওই বিলের অধিকাংশ কৃষক বোরো আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করেছিলেন। পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় একমাত্র ফসল বোরো আবাদ করা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ওই বিলে বোরো আবাদ করা উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের কৃষক মাহবুর রহমান বলেন, বুড়ুলি বিলে তার দেড় বিঘা জমিতে আবাদ করা বোরো ধান পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে। এ পানি নিষ্কাশিত না হলে ক্ষেতে এবার ফসল আর হবে না। বিলের কৃষক কলাগাছি গ্রামের ইসরাফিল হোসেন বলেন, ওই বিলে ১২ কাঠা জমিতে বোরো ধান আবাদের জন্য খেত প্রস্তুত করা হয়েছিল। খেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মাছের ঘেরের মালিক মেজবা উদ্দীন মিল্টন বলেন, বুড়ুলি খালে সেচকৃত পানির চাপে তার মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙে বিলের ভেতর পানি ঢুকে পড়েছে।

এতে কৃষকের রোপণকৃত বোরো ধান খেতসহ ২২০ বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বেড়ি ভেঙে যাওয়ায় বিলের ক্যানেলে থাকা মাছ বের হয়ে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনজুর রহমান বলেন, ওই বিলে ২২০ বিঘা জমির ভেতর প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে কৃষকেরা বোরো আবাদ করেছিলেন। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সুফলাকাটি ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই বিলের কৃষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানির নিচে ৩-৪ দিন ধানের চারা থাকলে ধান গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে শুনেছি। ঘের মালিকের সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত তাকে পানি সেচের উদ্যোগ নিতে বলা হবে। যাতে কৃষকরা ওই বিলে বোরো আবাদ করতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত