ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবৈধ মাটি বাণিজ্যে নষ্ট হচ্ছে সড়ক ও ফসলি জমি

অবৈধ মাটি বাণিজ্যে নষ্ট হচ্ছে সড়ক ও ফসলি জমি

মানিকগঞ্জে গ্রামীণ সড়ক বিধ্বস্ত করে অবৈধ মাটি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। ফসলি জমির ভেতর দিয়ে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে দিনরাত বিরামহীন মাটি বাণিজ্য করছে তারা। সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের বৈরাগীর চকে কয়েকটি এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে কাকড়া ও ড্রাম ট্রাকে মাটি তোলা হচ্ছে। এসব মাটি বহনে ফসলি খেতের ভেতর দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। সে রাস্তা পার হওয়ার পর গ্রামীণ সড়ক হয়ে ট্রাকগুলো মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। কাকড়া ও ড্রাম ট্রাকে অতিরিক্ত লোড নিয়ে মাটি বহন করায় এরই মধ্যে রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব মাটি রাস্তায় পরে কুয়াশা ও হালকা বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এসব ট্রাক গ্রামীণ সড়কে অতিরিক্ত লোড নিয়ে চলাচল করায় বিকট শব্দ হচ্ছে। স্থানীয়রা বারবার নিষেধ করেও দুইমাস ধরে চলতে থাকা মাটি বাণিজ্য বন্ধ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। বৈরাগী ও পার্শ্ববর্তী কাপশাইল এলাকার একাধিক ভুক্তভোগী জানান, মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক প্রভাবশালী। তারপরও আমরা তাদের কাছে আবদার করেছিলাম আপনারা দিনে মাটি কাটেন। আপনাদের এসব ট্রাক চলাচল করায় আমাদের রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাতে আমরা ঘুমাতে পারি না। এ বিষয়ে ধামশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী জেলা যুবলীগের এক নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, মুলত তারাই মাটি বাণিজ্য করে। আমি তিন দিন মাটি কাটা বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু তারপর কার ইঙ্গিতে আবার মাটি শুরু হয়েছে সেটা আমি বলতে পারব০ না। মাটি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি একা করি না আরো অনেকেই এটার সঙ্গে জড়িত আছে। অপর অংশের মাটি ব্যবসায়ী হাসেম বলেন, আমি আসলে বৈরাগীর চকে গাড়ি দিয়েছি। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। এরই মধ্যে ১৫টি ড্রেজারে অভিযান চালিয়েছি। ওখানেও আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত