সাতক্ষীরায় জমি নিয়ে বিরোধে গুলিবিদ্ধ দুই

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই ঘের কর্মচারীকে নির্যাতনের পর মালিককে বাড়ি থেকে তুলে এনে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার হরিণখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ও আহত চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, পাটকেলঘাটা থানাধীন হরিণখোলা গ্রামের অভিরাম মণ্ডলের ছেলে অলঙ্গ মণ্ডল, তার ভাই জগদীশ মণ্ডল, ঘেরের পাহারাদার বীরেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে বিশ্বনাথ মণ্ডল ও ঘের কর্মচারী আসননগর গ্রামের নারদ মুন্ডার ছেলে শ্রীপদ মুন্ডা। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হরিণখোলা গ্রামের অলঙ্গ মন্ডল জানান, হরিণখোলা বিলে ১০০ বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চিংড়ি ঘের পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে চার বিঘা সরকারি খাস জমির লীজের টাকা হরিণখোলা গ্রামের কার্তিক মন্ডলকে না দিয়ে জমির মালিক দাবিদার স্বপন মন্ডলকে দেওয়ায় তাদের সঙ্গে কার্তিক মন্ডলের বিরোধ চলে আসছিলো। এছাড়া পাঁচ শতক জমি নিয়ে কাকাতো ভাই শিব শেখরের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শালিসি বৈঠক হয়েছে কয়েকবার। রয়েছে আদালতে মামলাও। এরই জের ধরে গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ঘের কর্মচারি বিশ্বনাথ মন্ডল ও পার্শ্ববর্তী দীলিপ মন্ডলের ঘের কর্মচারি শ্রীপদ মুন্ডাকে ঘেরের বাসা থেকে মুখোশধারী ৭-৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ডেকে তুলে নির্যাতনের পর তার বাড়ির সামনে আনা হয়। তাকে ও ভাই জগদীশকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকে শটগান দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করলে তারা শটগান ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে তার দুই উরুতে ও ভাই জগদীশের ডান উরু গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি তাদের বাড়ির উঠান থেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের দুই ভাই ও দুই ঘের কর্মচারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান ও অর্থোপেডিকস সার্জন ডা. হাফিজুল্লাহ জানান, অলঙ্গ মন্ডলের দুই উরুতে ও জগদীশ মন্ডলের ডান উরুতে গুলি লেগে বিপরীত দিক থেকে বেরিয়ে গেছে। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, জমি ও ঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে গুলির ঘটনা ঠিক নয় বলে তিনি দাবি করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।