চাহিদা কমেছে গোলপাতার

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সুন্দরবনে বনজদ্রব্য আহরণ সীমিত, চাহিদা হ্রাসসহ নানা সংকটে খানিকটা অনাগ্রহের মধ্যেই পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জর একটি কূপে গোলপাতা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাওয়ালিরা। তবে বন বিভাগের কঠোর নিরাপত্তা ও কড়াকড়ির মধ্যে নির্বিঘ্নে মৌসুমের প্রথম ট্রিপের গোলপাতা কাটতে পেরে খুশি বাওয়ালিরা। বনবিভাগের বিভিন্ন সূত্র ও বাওয়ালিরা জানায়, ক্রমশ গোলপাতার চাহিদা হ্রাস ও সুন্দরবন থেকে বনজদ্রব্য আহরণ সীমিত হওয়ায় সুন্দরবনে গোলপাতা সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বাওয়ালিরা। আহরণের ভরা মৌসুমেও এবার বাওয়ালীদের বিএলসি (অনুমতি) দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর ছিল বন বিভাগ। সব আইন মেনেই সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা কূপ (জোন) থেকে ব্যবসায়ীরা পারমিট গ্রহণ করে গোলপাতা আহরণে সুন্দরবন অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন বাওয়ালি ও এর উপর নির্ভরশীল শ্রমজীবীরা। যদিও বনের ওপর চাপ কমাতে বনজদ্রব্য আহরণ সীমিত করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে বন বিভাগ। বাওয়ালিরা সুন্দরবনে যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য বনবিভাগ থেকে যেমন নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা তেমনি এ গোলপাতা আহরণে রয়েছে শর্তও। গোলপাতা আহরণের সময় বনে অন্য কোনো ধরনের গাছপালা কাটা যাবে না, কোনো বাওয়ালি যদি গোলপাতার পাশাপাশি অন্য প্রজাতির গাছ কাটেন কিংবা বনের ক্ষতি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহাজন সুলতান মাহমুদ বলেন, গোলপাতা আহরণে বন কর্মকর্তারা আমাদের যথেষ্ট সহোযোগিতা করছে। সরকারি রাজস্বের বাইরে বনবিভাগের কোনো চাহিদা না থাকলেও গোলপাতার চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রি করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।