গাজীপুরের শ্রীপুরে গভীর রাতে পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লার বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বত্তরা পেট্রল ঢেলে বারান্দায় রাখা বিভিন্ন আসবাপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুলির আঘাতে কাচের একটি দরজা ও বারান্দার গ্রিল ফুটো হয়ে যায়। খাঁচায় থাকা কয়েকটি পাখি পুড়ে মারা গেছে। বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ও কাপড় পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দুটি মোটরসাইকেলযোগে এসে অন্তত পাঁচজন দুর্বৃত্ত এ গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি ওই নেতার। গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নূরে আলম মোল্লার শ্রীপুর পৌরসভার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত তফিল উদ্দিন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। রাতেই ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কালিয়াকৈর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আজমীর হোসেন ও শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ জামান। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দুর্বৃত্তরা ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে বাসার দিকে তাক করে। এতে লোহার গেট ও কাচে গুলি লাগে। এ সময় বাসায় স্ত্রী, দুই ছেলে ও তাদের বউ এবং নুরে আলম মোল্লা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন নূরে আলম মোল্লা। তিনি দাবি করেন, গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের হয়ে নির্বাচন করায় তার ওপর এমন আক্রমণাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে একটি মহল। নূরে আলম মোল্লা আরও জানান, রাত ১২টা ১৮ মিনিটে একটি মোবাইল নম্বর থেকে আক্তার খান পরিচয় দিয়ে আমার বাড়ি আসতে চায়। আমি তাকে সকালে আসতে বলি। ওই ব্যক্তি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় অপর ব্যক্তি হাসান খন্দকার পরিচয় দিয়ে আবারও গালাগাল করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একই নম্বর থেকে রাত ১২টা ২৯ মিনিটে ফের ফোন করে। এ সময় আমি বাড়ির বাইরে আছি বলে তাকে জানাই। এ কথা বলার পর ওই ব্যক্তি ফোন কেটে দেয় এবং দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচজন আসে। আমার গেটে একটি গুলি করে। শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হতে চাইলে আরও দুইটি গুলি করে। আমি অন্য গেট দিয়ে বের হতে চাইলে সন্ত্রাসীরা ওই গেটে আরও ছয়টি গুলি চালায়। গুলির শব্দে আশপাশের মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র উদ্ধার ও দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
