দীর্ঘ ১৯ বছর পর নাটোরে ধর্ষণ মামলায় দুইজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। গতকাল সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে মে মাসে নাটোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করত আসামি আবু বক্কর এবং রানটু। সেই সময় এসএসসি পরীক্ষার্থী ভিকটিমের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে তারা দুইজন। সখ্যতা করে তারা দুইজন প্রায়ই ওই ভিকটিমের বাড়িতে আসতেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মায়ের অনুপস্থিতিতে দুইজন ওই ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বাড়িতে ভিকটিমকে না পেয়ে তার মা এবং আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। খোঁজ না পেয়ে নাটোর সদর থানায় এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন ভিকটিমের মামা। পরে ৮ জুন পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এরপর ভিকটিমের কাছে সব ঘটনা শুনে ৯ জুন আবু বক্কর ও রান্টু দুইজনকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন ভিকটিমের মামা। প্রায় ১৯ বছর শুনানির পর গতকাল আদালতের বিচারক দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ রায় দেন।