ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষার ফলন নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে গতবছর ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। তবে আবাদ বাড়লেও এবছর ফলন নিয়ে হতাশা রয়েছে কৃষকদের মাঝে।

তবে জানুয়ারি মাসের অতিরিক্ত কুয়াশা ও শীতের কারণে সরিষার ফলনে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল ১৫ হাজর ৯২৩ হেক্টর জমিতে। ওই বছর ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় এবার কৃষকরা বেশি করে সরিষার চাষ করেন। এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।

যা গতবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর বেশি। কিন্তু এবছর সরিষা গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ভালো আসলেও অতিরিক্ত ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার জন্য গাছে ফল কম ধরায় ফলন নিয়ে আশানুরূপ না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি মাঠসহ সবখানে সবুজ সরিষা গাছের দেখা মিলছে। ডগায় ডগায় হলুদ ফুলের মনোমুগদ্ধকর ও নয়নাভিরাম দৃশ্য। ফুলের ঘ্রাণ ও হলুদ রঙের সমারোহ মন কেড়েছে সবার। তবে এবার মাঠে ঘাটে সরিষার ফুলের শোভা পেলেও ফলন নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন বেশিরভাগ চাষি। সরিষা চাষি রমযান কাদিরা বলেন, জেলায় ফেব্রুয়ারি মাসে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা কমলেও জানুয়ারি মাসে সরিষা গাছে ফুল আসার সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকার কারণে গাছে ফল ধরেছে কম।

শীতের জন্য নানা ওষুধ ব্যবহার করেও প্রতিকার মেলেনি। এবার সরিষা আবাদের খরচটুকুও উঠবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, শীতের কারণে এবার ফলনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভোজ্য তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদ করে নিজেদের উৎপাদিত তেল তৈরিতে ঝুঁকছেন এবং সরিষার অপজাত খৈল ও গাছ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। তাই জেলায় দিন দিন সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়াও সরিষা চাষ আরো বৃদ্ধি করতে স্বল্পমেয়াদি আমন ধানের জাত চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।