নওগাঁয় ধানের দাম কমেছে মণপ্রতি ৫০ টাকা

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় ব্যবসায়ীদের আনাগোনা কমায় সপ্তাহের ব্যবধানে হাটে ধানের দাম কমেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণে দাম কমেছে ৪০-৫০ টাকা। এদিকে ধানের দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে চাষিদের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৯ লাখ ৭ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। বেশ কিছু দিন আগে জেলায় আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকরা ধান বিক্রি করে ইরি-বোরো রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের ঘরে এখন ধান নেই বললেই চলে। তবে বড় কৃষকদের ঘরে ধান রয়েছে। এ কারণে হাটে সরবরাহও কমেছে। এক মাস আগে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটে ২৫-৩০ লাখ টাকার ধান বেচাকেনা হয়েছিল। ধানের সরবরাহ কমে আসায় এখন ৬-৮ লাখ টাকার ধান কেনাবেচা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও প্রতি মণ ধানে দাম বেশি ছিল ৪০-৫০ টাকা। গতকাল এ হাটে স্বর্ণা-৫ ধান বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা থেকে ১২১০ টাকা, ব্রিআর-৪৯ ধান ১২৪০ টাাক থেকে ১২৬০ টাকা। সবচেয়ে বেশি কমেছে সুগন্ধি আতব ধান মণে ২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকা ২২৫০ টাকা মণ। গত এক মাসে জেলায় মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় কয়েক দফা ধানের দাম উঠা-নামা করে। এ কারণে হাটে ব্যবসায়িদের আনাগোনা কমেছে। এদিকে এক নওগাঁ শহরের পৌর খুচরা চাল বাজারে প্রতিকেজি চালে দাম কমেছে ২ টাকা।

স্বর্না ৫ জাতের চাল ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রিআর ২৮ ও ৪৯ চাল ৫২-৫৪ টাকা, জিরাশাইল ৬০-৬২ টাকা এবং কাটারি ৬৬-৬৮ টাকা দাম। মহাদেবপুর উপজেলার গনেশপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। প্রতি বিঘাতে ফলন হয়েছে ১৫-১৬ মণ। পোকার আক্রমণ হওয়ায় ফলন কিছুটা কমেছে। তবে কীটনাশক, সার ও শ্রমিক খরচ বাড়ায় ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় প্রায় ২০ কিলোমিটার দূর থেকে এ হাটে ধান বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়। প্রতি মণে ভাড়া পড়েছে ২৫ টাকা করে। হাটে এসে দেখি ধানের দাম কমে গছে। প্রতিমণ ধান বিক্রি করতে হয়েছে ১২৬০ টাকা মণ। যা গত হাটে ছিল ১৩১০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।