ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাব্য সংকট

ধোবাউড়ায় কংশ নদীর বুকে ধু ধু বালুচর

ধোবাউড়ায় কংশ নদীর বুকে ধু ধু বালুচর

নদীমাতৃক দেশ এই বাংলাদেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদনদী। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় রয়েছে একটি বড় নদী কংশ। কিন্তু নাব্য হারিয়ে আজ সেই নদী মৃতপ্রায়। তাইতো এখানকার মানুষও ভুলতে বসেছে মাছে ভাতে বাঙালি এই প্রবাদ বাক্যটি। এখন আর আগের মতো নেই দেশীয় মাছ। কারণ নাব্য হারিয়ে নদী এখন বালুচরে পরিণত হচ্ছে।

একটি অন্যতম বড় নদী হচ্ছে কংশ। একসময় এই নদীপথেই চলত বিভিন্ন নৌযান যা ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। উপজেলার গোয়াতলা বাজার থেকে পোড়াকান্দুলিয়া হয়ে জারিয়া জাঞ্জাইল এলাকায় বিভিন্ন মালামাল বহন করা হতো এই নদীপথে। সেখান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য আনা নেওয়া হতো। কিন্তু সেই খরস্রোতা কংশ এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। কংশের বুকে ঘাস লতা এবং মাঝখানে ধু ধু বালুচর। নাম মাত্র খনন করা হলেও পাল্টাইনি নদীর চিত্র। ফলে একদিকে যেমন ফসলে সেচের অভাব দেখা দিয়েছে অন্যদিকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। ধোবাউড়া উপজেলার গোয়তলা বাজার থেকে প্রবাহিত হয়ে ভায়া পোড়াকান্দুলিয়া বাজার হয়ে ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল পর্যন্ত কংশ নদ নাব্য হারিয়ে মৃতপ্রায়। বর্ষাকালে কয়েকদিন আগের মত নদীপথে কিছু নৌযান চলাচল দেখা গেলেও কয়েকদিন পরেই শেষ। কংশ নদের বিশাল জলারাশি এখন নেই। ধোবাউড়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কংশ নদে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। যেদিকে থাকানো যায় শুধু বালু আর বালু। গ্রীষ্মকালে কংশ নদের চিত্র বদলে বালুচরে পরিণত হয়। যে কংশ নদের বুকে আগে প্রবল ঢেউ আর ঢেউয়ের দোলা ছিল, সেই নদের বুকে এখন কুমড়াগাছের ডগা। পানির অভাবে কংশ নদ মরে এখন মরুভূমির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সচেতন মহল মনে করেন, নদী বাঁচাতে ড্রেজিং করে প্রতিবছর যাতে পলি ভরাট না হয়, সেজন্য মূল নদে ব্যারেজ নির্মাণ করা জরুরি।

এছাড়াও নদী শাসন, বাঁধ নির্মাণ, বড় নদীগুলোর সঙ্গে ছোট ও শাখা নদীগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া রোধ করা না গেলে নদকে বাঁচানো সম্ভব না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সময়মতো নদীটি খনন করা হয়নি, আমি এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারা বলেছিল খনন করে দেবে; কিন্তু আর করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন জানান, তিনি বিষয়টি জেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবেন। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত