ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালীগঞ্জে ফুলচাষিদের মুখে হাসি

কালীগঞ্জে ফুলচাষিদের মুখে হাসি

ফুলের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ঝিনাইদহ জেলা। ঝিনাইদহ জেলার ফুল চাষিরা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দুই কোটির ফুল বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবছর বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবস, বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ, স্বাধীনতা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো দিনগুলোতে ফুলের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। আর এই চাহিদার সিংহভাগ যোগান দিয়ে থাকে কালীগঞ্জের ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাজার ভালো পেলে টার্গেট অনুযায়ী ফুল ও বিক্রি হবে। যে কারণে কালীগঞ্জের ফুল চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি। এখানকার ফুলের চাষের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা, গ্লাডিওলাস, লিলিয়াম, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দুই দিনে এখানকার ফুল চাষিরা ২ কোটি টাকার বেশি ফুল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুল উৎপাদন হয় কালীগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের সফল ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী এসএম টিপু সুলতান একই ১২ বিঘা জমির উপর বিভিন্ন ফুলের চাষ করেছেন। তার চাষ করা ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা। সফল ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী এসএম টিপু সুলতান জানান, তিনি ২৮ বছর ধরে ফুলের সাথে জড়িত। ঢাকায় তার ফুলের দোকানও আছে। সেখানে তিনি ফুলের ব্যবসা করেন। তিনি নিজে শেরে বাংলা নগর ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তিনি সর্ব প্রথম গ্লাডিওলাস দিয়ে ফুলের চাষ শুরু করেন। এরপর জারবেরা ফুলের আবাদ করেন। সর্বশেষ গত ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডের ফুল লিলিয়ামের চাষ করেন। কিন্তু সময় মতো ফুল না উঠায়, সে বছর তিনি তেমনভাবে ফুল বিক্রি করতে পারেনি। এবার তিনি, সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে জারবেরা, সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে গোলাপ ও বাকি ৩ বিঘা জমিতে চন্দ্র মল্লিকাসহ অন্যান্য ফুলের করেছেন। তিনি জানান, ভালবাসা দিবস উপলক্ষে গোলাপ ফুলের বেশি চাহিদা থাকে। বর্তমানে একটি গোলাপ ফুল ৩০ থেকে ৩৫, একটি জারবেরা ফুল ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলের কোয়ালিটির উপর দামনির্ভর করে। তিনি আরো জানান, ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ফুলের ব্যবসা ভালো হয়। এ সময় ফুলের দাম ভালো পাওয়া যায়। সে সময় তিনি পাইকারি হারে ১টি জারবেরা ৫-১০ টাকা, গোলাপ ১০ থেকে ১২ টাকা করে বিক্রি করে থাকেন। অবশ্য বাজার ভালো হলে দাম বেশি পাওয়া যায়। আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দুইটি দিবসে তিনি একাই ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব আলম রনি জানান, ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় ফুল চাষ বেশি হয়ে থাকে। এখানে বিদেশি ফুল জারবেরা, লিলিয়াম, গ্লাডিওলাসের মত ফুলের চাষ হয়। চাষিদের ফুল বিক্রির জন্য বালিয়াডাঙ্গা বাজারে সরকারিভাবে কৃষি বিপণন কেন্দ্র করে দেওয়া হয়েছে। ফুল প্রসেস করার জন্য প্রি-কুলিং সেন্টারও আছে। এছাড়া তারা নিয়মতভাবে ফুলচাষিদের ফুলের রোগবালাই সম্পর্কে পরার্মশ প্রদান, বিভিন্ন ট্রেনিংয়ে অন্তর্ভুক্তি করছেন। তিনি আরো জানান, ভালো মানের ফুল হলে সেটি বিদেশে রপ্তানির জন্য চেষ্টা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত