চাঁদপুরের কচুয়ায় অটোরিকশা চালক মো. সাব্বির হোসেন হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনা জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, লুণ্ঠিত অটোরিকশা ও চালকের ব্যবহত মোবাইল ফোন। গতকাল দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী এলাকার মো. জহির বাবলা, মতলব দক্ষিণ উপজেলার মো. আনিছুর রহমান, একই উপজেলার মো. রাজু বেপারী, মো. রাকিব ও মো. আমির হোসেন হানজালা, নরসিংদী জেলার পলাশ থানার চরসিন্দুরের কবির হোসেন এবং দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানার মতুল্লাপুর এলাকার হামিদুর রহমান। পুলিশ সুপার জানান, কচুয়া পালাখাল ইউনিয়নের ভুঁইয়ারা গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. সাব্বির হোসেন গত ২৪ জানুয়ারি বিকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাতে বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন ২৫ জানুয়ারি তার মা জাহানারা বেগম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই দিন বিকালে পুলিশ স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়েনর সেঙ্গুয়া নামক স্থান থেকে হাত-পা বাঁধা সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় চালকের মা জাহানারা বেগম ২৬ জানুয়ারি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি গ্রহণের পর কচুয়া থানা পুলিশ একটি চৌকস দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন রাজিবসহ দলটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে আসামি হানজালাকে গ্রেপ্তার করেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন, অটোরিকশা চালক সাব্বির হত্যায় জড়িত ছিলেন ৯ জন। এর মধ্যে সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তারা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।