ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিলের জমি আবাদ উপযোগী করতে সেচ কার্যক্রম শুরু

বিলের জমি আবাদ উপযোগী করতে সেচ কার্যক্রম শুরু

যশোরের কেশবপুরের পাঁজিয়া পাথরা বিলের ১১০০ হেক্টর জমি ইরি বোরো আবাদ করতে জমির মালিকরা পানি সেচ কার্যক্রম শুরু করেছেন। ১১০০ হেক্টর জমির মধ্যে ৯০০ হেক্টর জমি ইরি-বোরো ধান আবাদ উপযোগী হলেও বাকি ২০০ হেক্টর জমির পানি সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। জানা গেছে, পাথরা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি চার ভেন্ট গেট আছে। যা বর্তমান সময়ে নদীর সাইড পলিতে ভরাট হওয়ায় কোনো প্রকার পানি নিষ্কাশনের পথ নেই।

যে কারণে বিল এলাকার কৃষকরা বিঘা প্রতি ৭০০ ও বিল অভ্যন্তরের মাছের ঘেরের মালিকরা ৮০০ টাকা হারে সেচ ব্যয় দিলেও সম্পূর্ণ পানি সেচ করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সম্প্রতি বিল আড়োখালির সরকারি খাল অবৈধ দখলমুক্ত করতে খালে দেয়া বাঁধ কেটে দেয় প্রশাসন। এ কারণে পানি নিষ্কাশিত বিলে প্রবেশ করায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমি সেচ দিতে হিমশিম অবস্থা। কৃষকরা ধান আবাদের জন্য ইত্যবসরে জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন নিষ্কাশিত বিলে। এ বিষয়ে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সাবেক ইউপি মেম্বার মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচের কাজ শুরু করা হয়েছে। ১১০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সেটা সংকুলান করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতার হাত না বাড়ালে মানুষের কাঙ্ক্ষিত আবাদ সম্ভব হবে না। অপর সদস্য মাহমুদুল হাসান জানান, তেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় যে পরিমাণ তেল দরকার, সেটা দিতে না পারায় ৩০টি সেচ মেশিনের মধ্যে ১৪ টি বন্ধ রয়েছে। কৃষক আব্দুল গফুর বলেন, সেচ কার্যক্রম করায় বিলে আবাদ হচ্ছে, কিন্তু জমি নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, উপরের পানির চাপ থাকায় বিল এলাকার রাস্তাগুলো বসে গেছে। যে কোনো সময় রাস্তা ভেঙে পানি নিষ্কাশনের মাঝে আবারো আবাদি জমি তলিয়ে যেতে পারে। পাঁজিয়া ইউনিয়নের মেম্বর সিরাজুল ইসলাম বলেন, সেচ কাজে যে টাকার ইষ্টিমেট করা হয়েছিল।

তার অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় গোটা বিলের জমি আবাদযোগ্য করা কঠিন। সরকারি সহায়তা অতিব জরুরি। পানি সেচ কমিটির সদস্য মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, অতিরিক্ত চাপে পানির বাঁধ ভেঙে প্রবেশ করায় এখন খরচ দ্বিগুণ। তিনি এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের সহায়তার দাবি জানিয়ে বলেন, সহায়তা পেলে বিলের সমুদয় জমি ইরি বোরো আবাদ করতে বন্ধ থাকা মেশিনগুলো চালু করতে পারলে কোনো সমস্যা থাকত না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত