মুরাদনগরে খালের উপর পাকা বাড়ি

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত সরকারি খাল ভরাট করে পাকা বসতবাড়ি ও দোকান নির্মাণসহ ড্রেজারের মাধ্যমে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র। সদর ইউনিয়নে উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি থাকলেও কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় দিন দিন অস্তিত্ব হারাচ্ছে খালটি। দখলদার শামসু মোল্লা, খালেক মোল্লা ও বাবুল মিয়া গংদের হাত থেকে খালটি উদ্ধার করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল এলাকার হাজী মুকসত আলী গাউছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি ঘোড়াশাল খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে কয়েক কিলোমিটার আয়তনের প্রাচীন এই খালটির মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে ঘোড়াশাল খেলার মাঠ পর্যন্ত অংশটি এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শতবর্ষী এই খাল দিয়ে আগে নৌকা চলাচল করলেও কালের বিবর্তনে নৌকার প্রচলন চলে যাওয়ায় খালটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পয়নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। বর্তমানে খালের বিভিন্ন অংশে পাকা স্থাপনা তৈরি করে দখল ও ড্রেজার দিয়ে ভরাট হওয়ায় এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে প্রাচীন এই খালটি। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মুখ খুলতে রাজি নয়। দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খায়রুল আমান আরিফ খাল দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, কতটুকু দখল হয়েছে সেটা সার্ভেয়ারের মাধ্যমে পরিমাপ করার জন্য রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, দখলদারদের কবল থেকে এই খালটি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে মুরাদনগরের বেদখল হওয়া সকল খাল উদ্ধার করা হবে।