ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেত্রকোনায় সোমেশ্বরী নদীর বালুমহাল ইজারা প্রক্রিয়া স্থগিত

নেত্রকোনায় সোমেশ্বরী নদীর বালুমহাল ইজারা প্রক্রিয়া স্থগিত

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে বালুমহাল ইজারা দরপত্রসংক্রান্ত সব কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে প্রদত্ত আদেশ নেত্রকোনা জেলা প্রশাসককে অবহিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। বেলার আইনজীবী হাসানুল বান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বেলার আইনজীবী জানান, সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় ২০১৫ সালে ২৯ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো গত ২৮ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক এই নদীতে নতুন করে বালু মহাল ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্টে দরপত্র স্থগিত চেয়ে ও আগের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ার কথা উল্লেখ করে আবেদন করি। দরপত্রসংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বেলা কর্তৃক দায়েরকৃত আবেদনের শুনানি শেষে নেত্রকোনা সোমেশ্বরী নদীতে বালুমহাল ইজারা দরপত্রসংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াত এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে, কতদিনের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে তা আদেশের কপি হাতে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেলার আইনজীবী হাসানুল বান্না। বান্না বলেন, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আদালতের আদেশ ও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর বিধান লঙ্ঘন করে সোমেশ্বরী নদীতে মামলাভুক্ত পাঁচটি বালু মহাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারার উদ্দেশে বিগত ২৮ জানুয়ারি নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার। বর্তমানে বালুমহালগুলো থেকে মোস্তাক আহমেদ রুহীর মালিকানাধীন মেসার্স রুহী এন্টারপ্রাইজ এবং মো. জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন মেসার্স জিহান এন্টারপ্রাইজ ইজারাগ্রহীতা হিসেবে বালু উত্তোলন করছে। বেলার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তাকে সহযোগিতা করেন হাসানুল বান্না। মামলায় ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিবাদী করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত