ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রেলকে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : রেলমন্ত্রী

রেলকে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : রেলমন্ত্রী

রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বিশ্বে রেল অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারছি না। আমাদের দক্ষ জনশক্তির অভাব আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের আন্তরিকতার অভাব। বিএনপির সময় গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করে আমাদের দক্ষ জনশক্তিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটা কারখানার যা ক্যাপাসিটি আছে আমরা ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারি। কিন্তু সমস্যাটা হলো আমাদের লোকবলের অভাব। গতকাল দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুল হাকিম বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ২ হাজার ৮৫৯ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ৮৬০ জন কর্মরত রয়েছেন। ২ হাজার ৮০০ জনের কাজ তো ৮০০ জন করতে পারে না। একটা কারখানা সম্পূর্ণভাবে সচল রাখা সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের যে যন্ত্রপাতি আছে আরও কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে রেলকে উন্নতির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চান। সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানায় অতীতে রেল সেতুর গার্ডার তৈরি হতো। এছাড়াও পাহাড়তলীতে হতো। এখন অল্প কিছু হয় বাকিটা আমদানি করতে হয়, এই দক্ষ জনশক্তির অভাবে। আমরা চাচ্ছি রেলকে স্বাবলম্বী করার জন্য। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রেলকে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আর আমাদের মানুষগুলোকে ভালো হতে হবে। মানুষ ভালো না হলে চেষ্টা করেও কিছু করা যায় না। প্রত্যেক জায়গা থেকে চুরিচামারি বন্ধ করতে হবে। চুরিচামারি যারা করে তাদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, আমি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি অতি দ্রুত লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে বলেছেন এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি সমস্যাগুলো সমাধানের। এক দিনে তো সম্ভব হবে না। একটু সময় লাগবে আমাদের একটু সময় দিতে হবে। আমরা সবাই মিলে রেলের একটা পরিবার। এ রেলওয়ে কারখানাকে স্মার্ট করতে চাইলে আমাদের স্মার্ট হতে হবে। আধুনিক কারখানা করতে গেলে সেই ধরনের মেশিন আমদানি করতে হবে। সেটা চালানোর লোক লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি আপনারা সহযোগিতা করবেন। তিনি আরো বলেন, যারা রেলের জমি দখল করে আছেন তারা জানেন যে কাজটা অন্যায়। তাদের বিবেকের দংশনে তাদের দংশিত হওয়া উচিত। একটা অন্যায় জিনিস আমরা করতে যাচ্ছি। দখল করে মসজিদ বানালে সে মসজিদে নামাজ হয় না। কিন্তু রেলের জমি দখল করে যে বসবাস করে সে কি খুব শান্তিতে বসবাস করতেছে, আমার মনে হয় না। এক ধরনের দুর্বৃত্ত আছে তারা এ কাজ করতেছে। আমরা চেষ্টা করব, আমাদের রেলের জন্য যতটুকু প্রয়োজন এগুলা আমরা উচ্ছেদ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত