ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গভীর রাতে কাঠের সেতু ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ : জনদুর্ভোগ চরমে

গভীর রাতে কাঠের সেতু ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ : জনদুর্ভোগ চরমে

রামগঞ্জে গভীর রাতে দীর্ঘদিনের চলাচলের কাঠের ব্রিজ ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করেছে একদল দুর্বৃত্ত। গত শুক্রবার গভীর রাতে রামগঞ্জ পৌর শহরের সাতারপাড়া এলাকার কলাবাগান-রতনপুর সংযোগ স্থলের কাঠের ব্রিজ ভেঙে রাতারাতি দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন ওরফে কতিথ দেলু এসপির বিরুদ্ধে। রাত প্রায় ১টার দিকে ব্রিজ ভাঙার বিকট শব্দে স্থানীয় বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় এলাকাবাসী ডাকাত আতঙ্কে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন বলেও জানান স্থানীয় লোকজন। সেতু ভেঙে দোকান নির্মাণ করে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ওই এলাকার শত শত স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকার কয়েকহাজার মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একটি মাত্র ব্রিজের অভাবে রামগঞ্জ কলাবাগান, সাতারপাড়া, নন্দনপুর, সোনাপুর, মৌলভী বাজার, কাঠ বাজার, রামগঞ্জ মডেল কলেজ, রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসা, রামগঞ্জ সরকারি কলেজসহ কলাবাগান সড়কের পশ্চিম পাশের স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামগঞ্জ এম ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ওই স্থানে কাঠের পাটাতন দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে আগে থেকে ওই ঘাঁটলার জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু এসপি। বার বার চেষ্টা করা হয় ঘাঁটলার জায়গা দখলে নিয়ে দোকানঘর নির্মাণের। ২০১৬ ইং সনে সন্ত্রাসী কায়দায় দোকান নির্মাণের চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন তিনি।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন ঘাঁটলার উপরে নির্মিত কাঠের ব্রিজের জমি জেলা পরিষদ থেকে লিজ (বন্দোবস্ত) আনার কথা বলে শুক্রবার দিনগত (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় ১টার দিকে ৫০-৬০ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে শত শত মানুষের দুর্ভোগের কথা না ভেবে, দীর্ঘদিন চলাচলের এই কাঠের ব্রিজটি ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করেন। এলাকাবাসী জানান, কলাবাগান ব্যাংক সড়কের উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (বিআরডিবি)র মালিকানা জমির পশ্চিম পাশে বিরেন্দ্র খালের উপর ৪০ বছর আগে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত পরিত্যক্ত ঘাটলার স্থলে ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার জানান, আমি খবর নিয়ে জেনেছি এখানে দুইটি গ্রুপের বিবাদ রয়েছে। আমরা সরেজমিন তদন্ত করব। যেখানে শত শত মানুষের স্বার্থ রয়েছে, আমরা সেভাবেই কাজ করব। যাতে মানুষ কোনো ধরনের দুর্ভোগের শিকার না হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত