দিনাজপুরে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেই বোরো ধান রোপণ

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে ইরি-বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক-কৃষানিরা। ভোর হতেই শীতল ঠান্ডা পানিতে নেমে বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করছেন কৃষক। পাশাপাশি বোরো চাষের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জমি। ভোর রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বোরো জমি প্রস্তুত করতে হাল চাষ করছেন কৃষক।

আগাম আলু উত্তোলনের পর ওই জমিতে রোপণের হিড়িক পড়েছে। তাই ইরি-বোরো রোপণ নিয়ে যেন চলছে গ্রামে গ্রামে উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক-কৃষানিদের। সেইসব জমিতে চাষ করা হচ্ছে ইরি-বোরো ধান। তবে যারা আলু চাষ করেননি, তারা আগাম সেইসব জমিতে এখনই নেমে পড়েছেন বোরো রোপণে। ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসি জাতের ধান বেশি আবাদ হয়। এছাড়াও হিরা-১, হিরা-২, সোনার বাংলা, বি-ধান ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯সহ স্থানীয় জাতের কিছু ধান চাষ হচ্ছে। দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। কৃষক দেখছেন আগামীর রঙিন স্বপ্ন। চারা বড় হবে, ফসলে ভরে উঠবে তাদের গোলা। কৃষকরা বলছেন, আগাম চারা রোপণ করায় ক্ষেতে ফসল ভালো উৎপাদন হয়। আর সারি সারি করে রোপণ করার ফলে পরিচর্যায় স্বস্তি মিলে। এছাড়াও খেতে রোগবালাই কম হওয়ায় অন্যান্য ফসল থেকে শতকরা ২০ ভাগ উৎপাদন বেশি হয়। কৃষকরা আরও বলেন, বীজ, সার সবকিছুর দাম বেশি। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। সার ও বীজের দাম সহনীয় হলে ধান চাষ করে আরও লাভ পাওয়া যেত। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সময়মতো চারা রোপণ করতে না পারলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না। তাই চারা রোপণ শুরু করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসরারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় কৃষকরা বেশ স্বস্থিতে রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।