ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট ও পরিবেশ

সাদুল্লাপুরে খয়বরের জমজমাট মাটি বাণিজ্য

সাদুল্লাপুরে খয়বরের জমজমাট মাটি বাণিজ্য

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী খয়বর হোসেন বিভিন্ন কৃষিজমি ও পুকুরে এক্সাভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে নির্বিকারে মাটি বাণিজ্যে ফুঁসে উঠেছে। এসব মাটি ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাকযোগে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে করে যেমন ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ধুলাবালুতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের হারুন মিয়া ভুট্টুর পুকুরে অসাধু খয়বর রহমান ভেকু দিয়ে রাতভর মাটি তুলে বিক্রি করছে।

এখানে সড়ক ঘেঁষা পুকুর থেকে মাটিবাণিজ্য করায় পুকুরটির সরকারি প্যালাসাইডিং ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে পুকুরের মধ্যে সড়ক ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খয়বর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি তুলে অন্যত্র বাণিজ্য করে আসছেন। প্রশাসনের তদারকির অভাবে দিন-রাত সমান তালে এই অবৈধ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এ সংক্রান্ত আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও তা তোয়াক্কা করছে না খয়বর হোসেন। ফলে প্রতিদিন একরের পর একর কৃষি জমির টপ সয়েল চলে যাচ্ছে অন্যত্র। এতে করে যেমন জমি উর্বরাশক্তি হারাচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। আর নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট এবং ধুলাবালুতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। শুধু খয়বর হোসেনই না, আরো অনেক অসাধু ব্যক্তি এই অবৈধ মাটির ব্যবসায় ফুঁসে ওঠেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত খয়বর হোসেন বলেন, থানা পুলিশসহ কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে মাটির ব্যবসা করা হচ্ছে। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ওই পুকুরে মাটির কাটার বিষয়টি আগেই জেনেছি। সেখানে আপতত মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে। ওই পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) বলেন, হামিন্দরপুর এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কাটার ব্যাপারটি জানা নেই। সেখানে গ্রামপুলিশ দিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, মাটি কাটার বিষয়গুলো এসিল্যান্ড মহোদয় দেখেন। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে ফোনটি রিসিভ করতে পারেনি তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত