ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঐতিহ্যবাহী পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব

ঐতিহ্যবাহী পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব

গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া উৎসবের মধ্য একটি ঐতিহ্য পলো দিয়ে মাছ ধরা। এখন গ্রাম অঞ্চলে এই রীতি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও নাটোরের লালপুর পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া এলাকায় পদ্মার বুকে জেগে থাকা (দামুস) নদীর হাঁটু পানিতে হয়ে গেল পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। এ সময় উপজেলার বিলমাড়ীয়া, হাজিরহাট, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক মৎস্যপ্রেমী ও জেলেরা পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসবে অংশ নেন। এতে পদ্মা নদীর দুই পাশে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দল বেঁধে পদ্মার (দামুসে) হাঁটু পানিতে সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা মাছ ধরতে নদীতে নেমে পড়েন।

তাদের পলোর নিচে ধরা পড়ে নানা জাতের দেশীয় মাছ। এ সময় উৎসুক গ্রামবাসীও নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করেন এ উৎসব। মাছ ধরা উৎসবে অংশ নেওয়া চাঁদপুরের কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, শীত কালের শেষের দিকের প্রতি বছরই মাছ ধরার উৎসব হয়ে থাকে। এবারে শীত একটু বেশি হওয়ায় মাছের পরিমাণ কম। তবে মাছ খাওয়ার চেয়ে ধরার আনন্দটাই বেশি। সেজন্য সবাই মিলে ঐতিহ্যবাহী উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি।

বিলমাড়ীয়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরে নদীর পানি কমে গেলে সবাই মিলে পলো দিয়ে মাছ ধরি। তখন আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে আসেন। আমরা পাঁচজন এসেছি। প্রতি বছর পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরতে যাই।

অনেক আনন্দে সবাই মাছ ধরি। হাজির হাট থেকে আসা মাছ শিকাড়ি আসলাম শেখ বলেন, প্রতিবছর আমরা খাল, বিল ও নদ নদীর পানি কোমর পর্যন্ত পৌঁছালে পলো দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন খাল-বিল, জলাশয়ে মাছ ধরতে যাই। একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। শখের কারণে সবাই একসঙ্গে মাছ ধরতে আসি।

নাটোর প্রতিনিধি

গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া উৎসবের মধ্য একটি ঐতিহ্য পলো দিয়ে মাছ ধরা। এখন গ্রাম অঞ্চলে এই রীতি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও নাটোরের লালপুর পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া এলাকায় পদ্মার বুকে জেগে থাকা (দামুস) নদীর হাঁটু পানিতে হয়ে গেল পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। এ সময় উপজেলার বিলমাড়ীয়া, হাজিরহাট, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক মৎস্যপ্রেমী ও জেলেরা পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসবে অংশ নেন। এতে পদ্মা নদীর দুই পাশে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দল বেঁধে পদ্মার (দামুসে) হাঁটু পানিতে সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা মাছ ধরতে নদীতে নেমে পড়েন।

তাদের পলোর নিচে ধরা পড়ে নানা জাতের দেশীয় মাছ। এ সময় উৎসুক গ্রামবাসীও নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করেন এ উৎসব। মাছ ধরা উৎসবে অংশ নেওয়া চাঁদপুরের কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, শীত কালের শেষের দিকের প্রতি বছরই মাছ ধরার উৎসব হয়ে থাকে। এবারে শীত একটু বেশি হওয়ায় মাছের পরিমাণ কম। তবে মাছ খাওয়ার চেয়ে ধরার আনন্দটাই বেশি। সেজন্য সবাই মিলে ঐতিহ্যবাহী উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি।

বিলমাড়ীয়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরে নদীর পানি কমে গেলে সবাই মিলে পলো দিয়ে মাছ ধরি। তখন আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে আসেন। আমরা পাঁচজন এসেছি। প্রতি বছর পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরতে যাই।

অনেক আনন্দে সবাই মাছ ধরি। হাজির হাট থেকে আসা মাছ শিকাড়ি আসলাম শেখ বলেন, প্রতিবছর আমরা খাল, বিল ও নদ নদীর পানি কোমর পর্যন্ত পৌঁছালে পলো দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন খাল-বিল, জলাশয়ে মাছ ধরতে যাই। একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। শখের কারণে সবাই একসঙ্গে মাছ ধরতে আসি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত