ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে কেঁচো বিক্রি করেই লাখপতি

কেশবপুরে কেঁচো বিক্রি করেই লাখপতি

যশোরের কেশবপুরের বেকার যুবক শেখ মুহাইমিনুল ইসলাম সেতু (২৮) কেঁচো বিক্রি করেই এখন লাখপতি। মাত্র ৫ কেজি কেঁচো নিয়ে কেঁচো সার তৈরির মাধ্যমে শুরু হয় তার পথচলা। এখন সেতুর খামারে প্রায় ১০ মণ কেঁচো রয়েছে। এসব কেঁচো ও কেঁচো থেকে উৎপাদিত সার বিক্রি করে প্রতি মাসে তিনি আয় করছেন প্রায় এক লাখ টাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে তার উৎপাদিত কেঁচো। তিনি নিজে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থান। তার দেখাদেখি অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক ঝুঁকছেন এ পেশায়। উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের কৃষক শেখ তছলিম উদ্দীনের ছেলে শেখ মুহাইমিনুল ইসলাম সেতু। বেকার এ যুবক কৃষি অফিসের পরামর্শে ৫ কেজি বিদেশি (থাইল্যান্ডের) কেঁচো সংগ্রহ করে ২০১৩ সালে কেঁচো সার তৈরির উদ্যোগ নেন। পরে ২০২০ সালে ‘চিংড়া ভার্মি কম্পোস্ট’ নামে কেঁচো ও সার উৎপাদনের একটি খামার তৈরি করেন। সেখানে ৩৫টি হাউজে তিনি গোবর ও কেঁচোর সমন্বয়ে কেঁচো সার তৈরি করে থাকেন। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুনাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকরা ফসলের খেতে কেঁচো সার ব্যবহারে ঝুঁকতে থাকায় তার খামারের উৎপাদিত কেঁচো এবং কেঁচো সারের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়তে থাকে। খামারিরা ২০২৩ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেঁচো সার তৈরি করতে তার খামারের কেঁচো কিনতে শুরু করেন। শেখ মুহাইমিনুল ইসলাম সেতু বলেন, প্রথমে খামারে ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থের পৃথক ৩৫টি হাউজে ১০ বস্তা করে গোবর ও ১০ কেজি করে কেঁচো মিশিয়ে দেন। এসব কেঁচো গবর খেয়ে মলত্যাগ করে এবং এর সাথে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরি হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত