ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাংলার মিলনমেলা

হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাংলার মিলনমেলা

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট এলাকায় দুই বাংলার আয়োজনে বাংলা ভাষার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় পুষ্পস্তবক বিনিময়ের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হন দুই বাংলার আয়োজকরা। একে অপরকে পুষ্পস্তবক দিয়ে জানান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। এ সময় দায়িত্বরত বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের পক্ষে বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটি, বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত কর্তৃপক্ষের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত ভারতের এসব সংগঠনের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করেন। এরপর তারা নিজ নিজ দেশের শহীদ বেদীতে ফুলের স্তবকগুলো অর্পণ করেন। বাংলাদেশের আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, দুই বাংলার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতিসহ ভাষাপ্রেমীদের মেলবন্ধন অটুট রাখতে আমরা ২০১৫ সাল থেকে হিলি সীমান্তে দুই বাংলার উদ্যোগে এই আয়োজন করে আসছি। আইনি জটিলতা থাকায় এবার বড় পরিসরে করা সম্ভব হয়নি।

আগামীতে আরো বড় পরিসরে রাষ্ট্রীয়ভাবে সীমান্তের শূন্যরেখায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, এই মিলনমেলা ঘিরে দুই বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষেরা সীমান্তে আসেন। এ সময় তারা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করে মন খুলে কথাবার্তা বলেন।

ভারতের উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ বলেন, প্রতি বছর আমরা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরির জন্য এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটার পরিসর বাড়িয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাশ, উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ, বাংলাদেশের পক্ষে স্থানীয় পৌর মেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলীসহ অনেকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত