ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাইপ অপসারণে মাইকিং

শ্যামনগরে নোনাপানি তোলায় জমিতে ধান চাষ ব্যাহত

শ্যামনগরে নোনাপানি তোলায় জমিতে ধান চাষ ব্যাহত

শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ছিদ্র ও নাইনটি বসিয়ে নোনা পানি তুলে ঘের করায় ৩ হাজার বিঘা জমির ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। পাইপ অপসারণের জন্য প্রশাসন মাইকিং করেও ব্যর্থ।

উপকূলীয় নদী খোলপেটুয়ার বাঁধে ছিদ্র ও বাঁধের উপর দিয়ে নাইনটি বসিয়ে নোনা পানি তুলছে শতাধিক প্রভাবশালী চিংড়িঘের মালিক। যে কারণে স্বল্প জমির মলিকরা ধান চাষ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নোনা পানিতে পুকুর ডুবে মরছে মাছ ও ভিটা ডুবে মরছে গাছ, গরু ছাগল, হাস, মুরগি। নোনা পানির প্রভাবে খাবার পানিরও মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে খাবার পানির জন্য এলাকার মহিলারা কলসি নিয়ে কয়েক কিলো মিটার পায়ে হেঁটে খাবার পানি সংগ্রহ করতে মারাত্মক হিমসিম খাচ্ছে।

গরু ও ছাগল নোনা পানি খেয়ে পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে ভুগছে। পাইপ অপসারণ করে ধান চাষ করার দাবিতে জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কয়েকশ’ জমির মালিক নিখিত আবেদনের পর জেলা প্রশাসক সহকারী কর্মকর্তা ভূমিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ভূমি কর্মকর্তার পক্ষ থেকে পাইপ অপসারণের জন্য মাইকিং করা হলেও প্রভাবশালী ঘের মালিকরা পাইপ অপসারণ করেনি। বরঞ্চ অভিযোগকারীদের ওপর প্রভাবশালীরা মামলা ও হামলার ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ হয়েছে। পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তোলার মধ্যে রয়েছে মুজিবার গাজী, আঃ রাজ্জাক বাবলু, আসাদুজ্জামান মিঠু, শফিকুল ইসলাম টুটুল, অমিনুর সরদার, খলিলুর রহমান, গফুর সরদারসহ শতাধিক ঘের মালিক অভিযোগকারী শেখ মুজিবর রহমান জানান, নেনা পানির প্রভাবে আমার পোষা ছাগলগুলো পেটের পীড়া হয়ে মারা গেছে। নুরুল ইসলাম জানান, নোনা পানির কারণে আমার সবজির খেত সব মরে সাবার। ইউপি সদস্য খোরশেদ জানান, পাইপ বসানোর স্থান দিয়ে ভাঙন ধরেছে যে কোনো বড় জেয়ারে বাঁধ ভেঙে গেলে এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধংস হয়ে যাবে। অভিযুক্তরা জানান, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে পাইপ বসিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজিবুল আলম বলেন, পাইপ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাইকিংও করা হয়েছে। অপসারণ না করলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত