কাউখালীতে ৫ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

জনগণের ভোগান্তি চরমে

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এনামুল হক, কাউখালী (পিরোজপুর)

কাউখালীতে সেতুর কার্যাদেশের পর ৫ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় জনগণ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের খালের উপর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ কার্যাদেশের ৫ বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৭ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজের টেন্ডার হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ১ বছরের চুক্তিতে নির্মাণকাজটি শেষ করার কথা থাকলেও দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করে ৫ বছরেও কাজটি শেষ করতে পারেনি। উল্লেখ্য, খালের উপর থাকা পূর্বের লোহার সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ করার জন্য পাইলিং এর কাজ শেষ করে ফেলে রাখে। যার ফলে গাড়ি ও স্থানীয় মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দিয়ে ৭-৮ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়াও ব্রিজের দক্ষিণপাড়ে জোলাগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জোলাগাতি ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতী প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর পাড়ে সবচেয়ে বেশি যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে। এসব অফিস এবং স্কুল-কলেজ ও মাদ্রসায় যাতায়াতের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিল এই সেতুটি। অথচ বিকল্প কোনো সেতু না থাকায় দুই পাড়ের হাজার হাজার জনগণ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছে। পাঙ্গাশিয়া জোলাগাতী দুটি সড়কই এখন চলাচলের সেতু না থাকায় চলাচল স্থবির হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন মালামাল নিতে ও কাজে আসতে হলে অতিরিক্ত ৫ কিলোমিটার পথ ঘুড়ে আসতে হয়। এতে অনেকেরই সময় অর্থ অপচয় হয় বলে জানান জোলাগাতী গ্রামের সাবির হোসেন ডাকুয়া। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম রাঢ়ী জানান, দীর্ঘদিন পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় বাস্তবায়নকারী মো: নুরুল আমিন কাজটি শুরু করেন। পরবর্তী সময় তার আর কোনো কাজ করার খবর পাওয়া যায়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইটিসিএল এর পক্ষে বাস্তবায়ন করছেন স্থানীয় ঠিকাদার নুরুল আমিন জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।