কুমিল্লার তিতাসের বাতাকান্দি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় থানা পুলিশ গত বুধবার রাতে আরো দুইজনকে আটক করেছে। আটকদের গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এর আগে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাশ জানান, বাতাকান্দি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে ডাকাতির ঘটনায় আগে যে পাঁচজন আটক হয়েছে তাদের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। এদের দুইজনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আলোকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কুমিল্লার দাউদকান্দির দৈইয়াপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে কাউছার মিয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পাচ্চুখাকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মোল্লার ছেলে শাওন রানাকে গৌরীপুর বাজার ও বাসস্টেশন থেকে আটক করা হয়। আসামি শাওন রানার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় খুনসহ ডাকাতির একটি মামলা রয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে উপজেলার বাতাকান্দি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ডাকাতদল ৫-৬টি দোকানের তালা কেটে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এরপর থেকে সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে তদন্ত কাজ শুরু করে র্যাব ও পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে ঢাকার কদমতলী ধনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছিল র্যাব ও থানা পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা হলেন- মাদারীপুরের পাকদি এলাকার মৃত হালান চোকদারের ছেলে ছাইদুল চোকদার, রবিশালের সাহেবের হাটের কামাল মোল্লার ছেলে বশির মোল্লা ও বাবু মোল্লা এবং পটুয়াখালী দুমকি এলাকার মৃত আঃ রশিদের ছেলে মো. মিজানুর হাওলাদার। এদের মধ্যে ছাইদুল চোকদার ও বশির মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।